চট্টগ্রামে পোলট্রি শিল্প বিকাশের পাশাপাশি বেড়েছে রোগ-বালাই
- আপডেট সময় : ০৪:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
পোলট্রি শিল্প দ্রুত বিকাশের পাশাপাশি রোগ-বালাইর কারণে ঝুঁকিও বেড়েছে কয়েকগুণ। এবার পোলট্রি শিল্পে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে চিকেন অ্যানিমিয়া ভাইরাসের একটি নতুন ধরন। এই অপ্রত্যাশিত উপস্থিতি দেশের পোলট্রি খাতকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, অ্যানিমিয়া ভাইরাস আক্রান্ত মুরগী খেলে মানুষের শরীরে এই জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার কোন আশংকা নেই।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চিকেন অ্যানিমিয়া ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। দীর্ঘদিন ধরে দেশে এ ভাইরাসের উল্লেখযোগ্য প্রাদুর্ভাব না থাকলেও সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, যা দেশের পোলট্রি খাতের জন্য নতুন এক উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে।
গবেষক দলটির বিশ্লেষণে দেখা গেছে- নতুন শনাক্ত হওয়া এই ভাইরাসটির জিনগত গঠন চীনের একটি স্ট্রেইনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। গবেষকদের ধারণা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বা পোলট্রি আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমেই এটি দেশে প্রবেশ করতে পারে। এই ভাইরাস মুরগির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ও বৃদ্ধি ব্যাহত করে। এখনো এই ভাইরাসের টিকা তৈরি না হলেও মুরগীকে সুস্থ রাখতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা।
দেশের পোলট্রি খাতে কোটি কোটি টাকার অর্থনৈতিক বিনিয়োগ রয়েছে। তাই গবেষকরা সতর্ক করেছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভাইরাসটির প্রভাব খামারিদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে ভাইরাস আক্রান্ত মুরগী খেলে মানুষের শরীরে এই জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশে চিকেন অ্যানিমিয়া ভাইরাসের নতুন এই জেনোটাইপের বিস্তার রোধে জাতীয় পর্যায়ে ভাইরোলজিক্যাল মনিটরিং, ব্রিডার ফ্লক ভ্যাকসিন আপডেট এবং খামার পর্যায়ে বায়োসিকিউরিটি জোরদার করা এখন সময়ের দাবি বলে জানায় গবেষকদল।












