চট্টগ্রামে পাহাড় কেটে বসতির প্রবণতায় বাড়ছে ধস

- আপডেট সময় : ০১:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে পাহাড় কেটে বসতি গড়ে তোলার প্রবণতা কোনভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। বছর বছর পাহাড় ধ্বসে মৃত্যু এবং প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের পরও বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় দখল। পরিবেশ কর্মী আর নগরবিদদের অভিযোগ, বর্ষার দু’মাস লোক দেখানো উচ্ছেদে সক্রিয় থাকলেও বছরের বাকি সময় পরক্ষোভাবে দখলদারদের সহায়তা করে প্রশাসন। যদিও জেলা প্রশাসক বলছেন, ঝুঁকিপুর্ণভাবে বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প তৈরীর প্রক্রিয়া চলছে। যা সম্পন্ন হলে বন্ধ হবে পাহাড়ের আহাজারী।
গেল তিন দিন ধরেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামে। এতে পাহাড় ধ্বসের আশংকা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া আফিস। তাই ঘুম নেই জেলা প্রশাসনের। নগরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অন্তত অর্ধশতাধিক পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে ঝুঁকিপুর্ণভাবে বসবাস করা কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে চালানো হচ্ছে প্রচারণা। পরিবেশ কর্মীদের অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই জেলা প্রশাসন সক্রিয় হয়। কারণ প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় পাহাড়গুলোর পাদদেশে গড়ে উঠেছে অবৈধ বসতি। নইলে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগ আসে কি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোতে বালির আধিক্য বেশী। তাই একটানা ২শ’ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেই ধসে পড়তে শুরু করে পাহাড়ের মাটি। তাই পাহাড়ের পাদদেশে বসতি গড়ে তোলা বন্ধ করতে না পারলে পরিবেশ ধ্বংসের পাশাপাশি মৃত্যুঝুঁকিও বাড়বে। আর এটা বন্ধ করতে হলে সরকারকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ পাহাড় দখলের সাথে প্রভাবশালীরা জড়িত।
আর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বললেন, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপুর্ণভাবে বসবাস কারীদের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। তাদেরকে পুনর্বাসন করার একটি প্রকল্পও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির হিসেবে ২০০৭ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে আড়াই শতাধিক মানুষের মৃ