চট্টগ্রামে চার উপজেলার ১১ বাহিনীর ৩৪ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

- আপডেট সময় : ০৭:০১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের বাঁশখালী, মহেশখালী, চকরিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার ১১টি বাহিনীর ৩৪ জন জলদস্যু স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এসময় তারা ৯০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ হাজারের বেশী কার্তুজ জমা দেয়। এর আগে ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর রেবের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে বাঁশখালী, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার ৪৩ জলদস্যু।
দুপুরে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে। এসময় স্বরাষ্ট্র সচিব কামালউদ্দিন আহমেদ, আইজিপি বেনজির আহমেদ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের হত্যা ও ধর্ষণ মামলা ছাড়া অন্য মামলাগুলো পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। আর তাদের কারো বিরুদ্ধে হত্যা বা ধর্ষণ মামলা থাকলে তা আইনানুগ প্রক্রিয়ায় চলবে বলে জানানো হয়। এর আগে সুন্দরবনের জলদস্যুদের আত্মসমর্পণে অনুপ্রাণিত হয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার উপকূলীয় অঞ্চলের এসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণকারী প্রত্যেক জলদস্যুদেরকে নগদ এক লাখ টাকা ও আইনি সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। এ সময় আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুরা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করে এবং তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ দেয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। জলদস্যুদের ধরতে সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়। তারই প্রেক্ষিতে আত্মসমর্পণে আগ্রহ প্রকাশ করে এই ৩৪ জলদস্যু। ২০১৬ সালের ৩১ মে হতে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জনসহ মোট ৪০৫ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে।