চট্টগ্রামে করোনা সংকটের মধ্যেই মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে এসেছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান

- আপডেট সময় : ০২:১০:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
- / ১৫৪৯ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে করোনা সংকটের মধ্যেই মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে এসেছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাওয়া প্রশাসনের কর্মকর্তারা এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায়। ঝড়ের পরে প্রবল বৃষ্টির আভাস দিয়ে উপকুলীয় মানুষের সঙ্গে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার তাগিদ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর সাইক্লোন সেন্টারগুলোতে আশ্রয় নেয়া মানুষদেরও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে বলেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া ঘুর্ণিঝড় আম্পানের কারণে নতুন প্রতিবন্ধকতায় পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।
প্রায় দু’মাস ধরে করোনার কারণে সবকিছুতে স্থবিরতা নেমে এলেও চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ও বহিনোঙ্গোনে পণ্য ওঠা নামা বন্ধ হয়নি এক দিনের জন্যও। কিন্তু ঘুর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সমুদ্রু উত্তাল হয়ে ওঠায় গত কাল বিকেল থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বন্দরের সব ধরণের অপারেশন। নিরাপত্ত্বার কারণে বন্দর চ্যানেল ও আশপাশের এলাকা ছেড়ে গভির সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে জাহাজগুলোকে।
এদিকে ঘুর্ণিঝড়ের পড়ে অন্তত ৭ দিন টানা বৃষ্টির আভাস দিয়ে পাহাড় ধসেরও আশংকা করে প্রশাসনকে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও যে কোন মুল্যে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে করোনাকালে সামাজিক দুরত্বের বিষয়টি মাথায় রেখেই উপকুলীয় ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা মানুষদের জন্য ৪৭৯টি সরকারী আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি ২ হাজার ২৬৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১২৫০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও ২৮৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।