চট্টগ্রামে কন্টেইনার ডিপোর আগুনে পুড়ে গেছে পোশাক ভর্তি ৪০০ কন্টেইনার
- আপডেট সময় : ০৫:২১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
- / ১৬৪২ বার পড়া হয়েছে
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন আর বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা নেই, তবে এখনো অনেক কন্টেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পুরোপুরি আগুন নেভাতে আরো সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এদিকে ধ্বংসস্তুপ থেকে আরো দুটি মরদেহের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নামের রাসায়নিকটি সংরক্ষণে গাফিলতির কারণেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। কাস্টমসের ওপর দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
আগুনের সেই লেলিহান শিখা এখন আর নেই। তবে ভষ্মিভুত কন্টেইনার থেকে এখনো বের হচ্ছে ধোয়ার কুণ্ডুলি। কোথাও কোথাও অল্প-স্বল্প আগুনের দেখাও মিলছে। রাবার কি গ্যান্ট্রিক্রেন দিয়ে কন্টেইনারগুলো আলাদা করে আগুন নেভানোর কৌশল নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
আর এভাবে পুরো ডিপোর আগুন নেভাতে সময় লাগবে। তবে আগুনের ভয়াবহতা আর বাড়ার আশংকা নেই বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে আরো দুটি মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ফায়ার সার্ভিসের কর্মী; আরেকটি ডিপোর নিরাপত্ত্বাকর্মীর বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনার তিন দিন পর বিএম কন্টেইনার ডিপোর মালিক পক্ষের দেখা মিলেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে। তাদের দাবি, কাস্টমসকে অবগত করেই ডিপোতে রাসায়নিকের কন্টেইনার রাখা হয়েছিলো।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হতাহতদের দেখতে আসেন আইজিপি বেনজির আহমেদ। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
বিএম কন্টেইনার ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৪ টি মরদেহ এসেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার মধ্যে ২৬ জনের পরিচয় শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ১৮ টি মরদেহের জন্য ৩৭ জন ডিএনএ নমুনা জমা দিয়েছে। মেডিকেলের সামনে অধিক আগ্রহে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা।



























