লালদিয়ার চর টার্মিনালে ৮’শ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ডেনিশ কোম্পানি

- আপডেট সময় : ০৩:৫০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৫০২ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রস্তাবিত লালদিয়ার চর টার্মিনালে ৮’শ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ডেনিশ কোম্পানি। এ বিষয়ে ডেনিশ কোম্পানি এ পি মুলার-মার্স্ক লাইনের সাথে অচিরেই চুক্তি করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। এপি মুলার যদি স্বাভাবিক গতি নিয়ে এই টার্মিনালে কাজ শুরু করে তাহলে বাংলাদেশের বন্দর বিশ্বের শিপিং সেক্টরে ভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা বন্দর ব্যবহারকারীদের।
চট্টগ্রাম বন্দরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হিসেবে স্বীকৃত লালদিয়ার চর। ৫২ একরেরও বেশি জায়গা রয়েছে লালদিয়ার চরে। দীর্ঘদিন এই জায়গা স্থানীয়দের দখলে ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে এটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষ লালদিয়া চরের জায়গাটিকে পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালের ব্যাকইয়ার্ড ফ্যাসিলিটি হিসেবে গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা শুরু করে।
চট্টগ্রাম বন্দরকে আধুনিকায়ন এবং সক্ষমতার নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সরকার বিশ্বের শিপিং সেক্টরের মোগল হিসেবে খ্যাত ডেনিশ কোম্পানি এ পি মুলারকে লালদিয়ার চর টার্মিনালটির দায়িত্ব হস্তান্তর করছে। কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে এই টার্মিনালে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। তারা শুধু টার্মিনালই নির্মাণ নয়, একই সাথে প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতিও স্থাপন করবে। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে তারা যে অবস্থায় বন্দরটি থাকে ওভাবে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করবে।
৪০ বছরের জন্য দেয়া হচ্ছে লালদিয়ার চর। সেখানে শুধু কন্টেনার নয়, বাল্ক কার্গোর হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধাও থাকবে। মাল্টিপারপাস এই টার্মিনালের দৈর্ঘ্য হবে ৪৫০ মিটার, নদীর গভীরতা এখানে ১১ মিটারের বেশি। এতে সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানো যাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বন্দর ব্যবহারকারীদের অনেক দাবি মিটবে।
চুক্তির পরপরই মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।