চট্টগ্রামের অধিকাংশ বস্তি এলাকায় পৌছেনি কোন সাহায্য সামগ্রী

- আপডেট সময় : ০১:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
করোনার সংক্রমন ঠেকাতে, সাধারণ ছুটির কারণে দরিদ্র মানুষদের ঘরে খাদ্য পৌছে দেয়ার ঘোষণা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। চট্টগ্রামের অধিকাংশ বস্তি এলাকায় এখনো পৌছেনি কোন সাহায্য সামগ্রী। তবে মাঝে-মধ্যে বন্দর নগরীর মোড়ে মোড়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নিলেও সেখানে তৈরী হয় চরম বিশৃঙ্খলা। জেলা প্রশাসক বলছেন, ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা ফেরাতে সচেষ্ট তারা। এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফেরাতে সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বাড়ীতে বাড়ীতে ত্রাণ পৌঁছানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকার সেগুনবাগান বস্তি। গলিপথগুলোতে উদ্বিগ্ন মানুষের সমাগম। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কিংবা হোম কোয়ারেন্টাইন কোন কিছুই বোঝেন না অভাবী দিনমজুর মানুষেরা। শুধু জানেন, অঘোষিত লকডাউনে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়েছে। পেটে দানাপানি দিতে বেরোতে হবে কাজের খোঁজে।
ফোন করলে ঘরে ত্রাণ পৌছে দেবে জেলা প্রশাসন কিংবা সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংগঠন। এমন খবর গণমাধ্যমে পেলেও বাস্তবে তার দেখা পাননি বস্তির বাসিন্দারা।
পথেঘাটে মাঝে-মধ্যে ত্রাণ দেয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। কিন্তু সেখানে ঘটছে চরম বিশৃঙ্খলা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই তো নেইই; বরং ত্রাণের সন্ধানে সহিংসতায় জড়াতেও প্রস্তুত ছিন্নমূল মানুষ। অবশ্য জেলা প্রশাসকের দাবি, শৃঙ্খলার সাথে ত্রাণ বিতরণের পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।
আর বিশ্লেষকরা বলছেন, সুষম বন্টনের পাশাপাশি বিতরণে শৃঙ্খলা ফেরাতে না পারলে, ঘটতে পারে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ।করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু দিন-আনা দিন-খাওয়া মানুষের খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে, কোন চেষ্টাই কাজে আসবে না বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।