ঘুষ ছাড়াই রাজস্ব আদায়ে হচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমসে

- আপডেট সময় : ১১:২৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
- / ১৭৬৮ বার পড়া হয়েছে
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনিয়ম দুর্নীতে রোধে নানামুখি তৎপরতা শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। পাশাপাশি কাস্টমসের ঘুষ দুর্নীতিতে সহযোগী না হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে স্টেকহোল্ডাররাও। সরকার পতনের পর থেকে ঘুষ ছাড়াই কাজ চলছে এককভাবে রাজস্ব আদায়ে দেশের সবচেয়ে বড় এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। উভয়পক্ষ অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললেও সিস্টেমে সংস্কার ছাড়া বাস্তবে এই ধারা কতদিন ধরে রাখা যাবে তা নিয়ে সন্দিহান অর্থনীতিবিদরা।
ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না চট্টগ্রাম কাস্টম হাইজে। গত ১৫ বছরের এর ব্যাপ্তি বেড়ে অনেকটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিলো। কথিত আছে দিনে দুই কোটি টাকার শুধু ঘুষই লেনদেন হয় এই একটি একটি ভবনকে ঘিরে।
৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর বদলে গেছে দৃশ্যপট। গত ২০ দিন ধরে একরকম ঘুষ ছাড়াই আমদানী পণ্য ডেলিভারি ও রপ্তানী পণ্য জাহাজীকরণ হচ্ছে কাস্টমস ও বন্দরে। ফুটেজ-২
কাস্টমসের সঙ্গে কাজের দিক থেকে সবচেয়ে ঘনিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন বলছে, এতদিন নানাপন্থায় তাদেরকে জিম্মি করে অবৈধ সুবিধা আদায় করতো কাস্টমস কর্মকর্তারা। এখন থেকে সেই সুযোগ আর দেবেন না তারা।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, পরিবর্তিত সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর জিরো ট্রলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে সহযোগী হতে চান তারাও। তাই এখন থেকে কোন পক্ষের অনিয়ম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না তারা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকার পরিবর্তন এমনকি বিশেষ বিশেষ সময়ে কাস্টমসে অনিয়ম দুর্নীতি কমে যাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। কিন্তু এই উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী হয়নি কখনোই। কারণ মিথ্য ঘোষণায় আমদানী-রপ্তানীর সুযোগ থাকায় কর্মকর্তা ও গ্রাহক উভয়পক্ষের মধ্যেই ঘুষ দেয়া নেয়ার প্রবণতা রয়েছে।ফুটেজ-১ ও ফুটেজ-২
এতদিন ধরে কাস্টমসের মতো সরাসরি বাজারের সঙ্গে জড়িত জনগুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠানকে যেসব কর্মকর্তা অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিলো তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টন্তমুলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান নসরুল কদির।