গ্যাস সংকটে আশুগঞ্জ সার কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ

- আপডেট সময় : ০৫:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
গ্যাস সংকটে ৭ মাস ধরে বন্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন। এতে প্রতিমাসে অন্তত ১৩৫ কোটি টাকার সার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারের রেশনিং পদ্ধতির কারণে ২০১০ সালের পর থেকে বছরের বেশীরভাগ সময় বন্ধ থাকছে কারখানাটি।এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কার্যক্ষমতা কমছে কারখানার। সে সাথে বাড়ছে আমদানি নির্ভরতা। এ অবস্থায় দ্রুত গ্যাস সরবরাহের দাবী কারখানা সংশ্লিষ্টদের।
দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ইউরিয়া সারকারখানা। এখানে উৎপাদিত সার সরবরাহ করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চাঁদপুরসহ কমান্ডভূক্ত ৮টি জেলায়। তবে গ্যাস সংকটে চলতি বছর মার্চ থেকে ৭ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে কারখানাটির উৎপাদন। এতে প্রতিদিন ব্যহত হচ্ছে অন্তত সাড়ে ৪ কোটি টাকার সার উৎপাদন।
কারখানা সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্যাস সংকটে গেল ৫ বছর ধরে বিসিআইসির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে কারখানাটি। এতে ২৩-২৪ অর্থ বছরে দেড় লক্ষ মেট্টিক টন ইউরিয়া উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৮ হাজার মেট্টিক টন আর ২৪-২৫ অর্থ বছরে এক লক্ষ মেট্টিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মাত্র সাড়ে ১৩ হাজার মেট্টিক টন ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম হয় কারখানাটি।
তবে নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন আর সঠিক চাপে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পেলে আশুগঞ্জ সার কারখানা আবারও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে দাবি উৎপাদন সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে প্রতিমাসে ১৩৫ কোটি টাকার সার উৎপাদন ব্যহত হবার পাশাপাশি যন্ত্রাংশের ক্ষতির কথা জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, গ্যাস পেলেই দ্রুত উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের এই কর্মকর্তা জানান, পেট্রোবাংলার সাথে বিসিআইসির সমঝোতায় দেশের ৩টি করাখানা চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আশুগঞ্জ সারকারখানা চালানো হবে কি না তা নির্ভর করবে বিসিআইসির সিদ্ধান্তের উপর।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই সারকারখানাটিকে উৎপাদনে আনতে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।