গাইবান্ধায় গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় দিশেহারা খামারীরা

- আপডেট সময় : ০৬:৫০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধায় গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার খামারীরা। দাম না কমলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের। খামারিরা বলছেন, বাজারে যে দামে দুধ বিক্রি হচ্ছে, তাতে গাভী পালন করাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। গো-খাদ্যের দাম বাড়ার পেছনে আমদানিকারক ও মিলারদের কারসাজি এবং সরকারের মনিটরিংয়ের অভাবকে দায়ী করছেন খামারিরা। তবে ঘাস চাষসহ দানাদার খাবারের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরামর্শ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার।
হঠাৎ বেড়েছে গো-খাদ্য ফিট, ছোলা, ভুট্টা, ভুসি ও খড়ের দাম। ফলে বিপাকে পড়েছেন গাইবান্ধার খামারীরা। পর্যাপ্ত খাবারের যোগান দিতে না পেরে কেউ কেউ গবাদিপশু বিক্রি করে ফেলছেন। খাবারের সঙ্গে দুধ ও গরুর দামের মিল না থাকায় লোকসান গুণতে হচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতো বেশি দামে কিনতে ও বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় ডিলার ও ব্যবসায়ীদের।
খামারীরা সমস্যায় পড়েছে জানিয়ে ঘাটতি মেটাতে খামারীদের ঘাষ চাষসহ দানাদার খাবারের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরামর্শ দেন জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা।
সরকারী হিসেবে, জেলায় গরুর দুগ্ধ খামার রয়েছে ১০ হাজার ৭শত ৩০টি। মোটা-তাজাকরণ প্রকল্পে গরুর সংখ্যা ১০হাজার ৬ শত ৫০টি। ছাগল ও ভেড়ার ৫ হাজার ৪ শত ১৬টি খামার রয়েছে।