খুলনার বন্ধ নিউজপ্রিন্ট মিলের স্ক্র্যাপ বিক্রির নামে হরিলুটের অভিযোগ
 
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ০১:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৭৯ বার পড়া হয়েছে
খুলনার বন্ধ নিউজপ্রিন্ট মিলের স্ক্র্যাপ বিক্রির নামে হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। ২০০২ সালে লোকসান দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশের একমাত্র নিউজপ্রিন্ট মিলটি।তারপর, বিভিন্ন সময় মিলের যন্ত্রাংশ চুরি হলেও, কাউকে আইনের আওতায় আনা হয়নি।কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রাষ্ট্রায়ত্ব সম্পদ লুন্ঠনকারীরা বরাবরই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে বলে মনে করে সচেতন মহল।
নির্ধারিত স্ক্রাপের সঙ্গে মিলের অন্যান্য মালামাল নেওয়ার সময় স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পড়ে কর্তৃপক্ষ। পরে, স্ক্র্যাপ নেওয়া স্থগিত করে তারা। কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রতিদিন অতিরিক্ত মাল ট্রাকে করে মিলের বাইরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।স্ক্র্যাপ বিক্রির নামে লুটপাট চলছে নিউজপ্রিন্ট মিলে। কিন্ত, এ ব্যাপারে থানায় মামলা না করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছে, মিলের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা নিত্যদিনের।
সবশেষ, তিনটি সংস্থার কাছে স্ক্র্যাপ হিসেবে পরিত্যক্ত ১১টি জাহাজ, সাতটি বার্জ, ১৭টি গাড়ি ও ২৮টি ক্রেন বিক্রি করে বিসিআইসি ডিপিএম এর মাধ্যমে। এ সব স্ক্র্যাপ নেওয়ার সময় ঠিকাদাররা বিক্রি বহির্ভূত অতিরিক্ত মালামাল ট্রাকে বোঝাই করলে স্থানীয়রা বাঁধা দেয়। চাপের মুখে তিনটি ট্রাক আটক ও মামলাল নেওয়া সাময়িক বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেন, প্রতিনিয়ত দামী যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে।কিন্তু, কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়না। মিল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের আঁধারে নদীপথে মালামাল সরানো হয়। যথাযথ তদারকি না থাকলে, মিলের অবশিষ্ট মালামালও লুটপাট হয়ে যাবে বলে মনে করে, স্থানীয়রা।

 
																			 
																		























