খাদ্য সংকটে কয়েক হাজার হতদরিদ্র পরিবার

- আপডেট সময় : ০৮:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লার বরুড়ায় খাদ্য সংকটে কয়েক হাজার হতদরিদ্র পরিবার। করোনার প্রভাবে জেলায় লকডাউনের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়া এসব মানুষের একমাত্র ভরসা এখন সরকারি সাহায্য। নিত্যপ্রয়োজন মেটাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, হতদরিদ্রদের তালিকায় ১৫শ’ পরিবারের নাম থাকলেও পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ায় সবার মধ্যে বন্টন সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়েছে দেশের উত্তারাঞ্চলের সবচে দারিদ্র পীড়িত জেলা কুড়িগ্রামের কয়েক লাখ মানুষ। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হাতে কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছে তারা।
জেলার বরুড়া উপজেলার ১১নম্বর গালিমপুর ইউনিয়ন। প্রায় ৪২ হাজার লোকের বসবাস এ ইউনিয়নে। লকডাউনের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ফলে প্রায় এক মাসের অধিক সময় ধরে কাজ না থাকায় চরম খাদ্য সংকটে পরেছে অসংখ্য পরিবার।
ইউনিয়নে ৬ হাজার পরিবার থাকলেও ত্রাণের তালিকায় নাম রয়েছে মাত্র দেড় হাজার। এর মধ্যে সরকারি অনুদান হিসেবে দেয়া পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে চাল ৬৭০টি পরিবারকে দেয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়েছে দেশের উত্তারাঞ্চলের সবচে দারিদ্র পীড়িত জেলা কুড়িগ্রামের কয়েক লাখ মানুষ। সরকারী ও বেসরকারী ভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও বেশির ভাগ মানুষের ভাগ্যে তা জুটছে না ।
এ পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলাসহ ৩টি পৌরসভায় ১২শ ৭০ মেট্রিক টন জিআর চাল ও ৬৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে হাতে কাজ না থাকায় এসব দরিদ্র মানুষেরা পড়েছেন তীব্র খাদ্য সংকটে।