০২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেড়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন: বিশিষ্টজনদের অভিমত

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • / ১৬০১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয় আর প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতি উত্তরণে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রশাসনকে রাজনৈতিক বলয়ের বাইরে এসে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। ‘বিপন্ন মানবাধিকার- উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক এসএ টিভি রাউন্ড টেবিল আলোচনায় বিশিষ্টজনেরা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, ভিন্নমত দমনেই বিগত সরকার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

রাজধানীর গুলশানে এসএটিভি ভবনে আয়োজিত এসএটিভি রাউন্ড টেবিলের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিপন্ন মানবাধিকার- উত্তরণে করণীয়’। রোবায়েত ফেরদৌসের উপস্থাপনায় এবারের রাউন্ড টেবিল উৎসর্গ করা হয় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের হতাহতদের প্রতি।

সরাসরি সম্প্রচারিত আলোচনায় যোগ দিয়ে বিশিষ্টজনরা বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দেশে মানবাধিকার বিপন্ন হয়। ভিন্নমত দমনে ব্যবহার করা হয় পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীকে।

সীমান্ত পরিস্থিতি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন আলোচকরা। জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-প্রতিবেশী দেশ ভারতের পরিকল্পনার দৃশ্যায়ন হয় বলেও দাবি করেন তারা।

রাজনৈতিক ট্যাগ ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকার কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘন বৃদ্ধি পায় বলে মত দেন বিশিষ্টজনেরা। জুলাই আগস্ট বিপ্লবের পরও ‘পুলিশের আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি বলেও জানান তারা।

পুলিশসহ প্রতিটি বাহিনী এবং প্রশাসনে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয়করণ, অর্থ লেনদেন বন্ধ করা এবং নিরপেক্ষভাবে তাদের কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হলে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে মত দেন আলোচকরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেড়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন: বিশিষ্টজনদের অভিমত

আপডেট সময় : ১০:১৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয় আর প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতি উত্তরণে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রশাসনকে রাজনৈতিক বলয়ের বাইরে এসে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। ‘বিপন্ন মানবাধিকার- উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক এসএ টিভি রাউন্ড টেবিল আলোচনায় বিশিষ্টজনেরা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, ভিন্নমত দমনেই বিগত সরকার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

রাজধানীর গুলশানে এসএটিভি ভবনে আয়োজিত এসএটিভি রাউন্ড টেবিলের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিপন্ন মানবাধিকার- উত্তরণে করণীয়’। রোবায়েত ফেরদৌসের উপস্থাপনায় এবারের রাউন্ড টেবিল উৎসর্গ করা হয় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের হতাহতদের প্রতি।

সরাসরি সম্প্রচারিত আলোচনায় যোগ দিয়ে বিশিষ্টজনরা বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দেশে মানবাধিকার বিপন্ন হয়। ভিন্নমত দমনে ব্যবহার করা হয় পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীকে।

সীমান্ত পরিস্থিতি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন আলোচকরা। জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-প্রতিবেশী দেশ ভারতের পরিকল্পনার দৃশ্যায়ন হয় বলেও দাবি করেন তারা।

রাজনৈতিক ট্যাগ ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকার কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘন বৃদ্ধি পায় বলে মত দেন বিশিষ্টজনেরা। জুলাই আগস্ট বিপ্লবের পরও ‘পুলিশের আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি বলেও জানান তারা।

পুলিশসহ প্রতিটি বাহিনী এবং প্রশাসনে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয়করণ, অর্থ লেনদেন বন্ধ করা এবং নিরপেক্ষভাবে তাদের কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হলে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে মত দেন আলোচকরা।