কোরবানির পশুর চাহিদা ও উৎপাদন কমেছে সিলেটে

- আপডেট সময় : ০২:৪০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
এক বছরের ব্যবধানে কুরবানীর পশুর চাহিদা ও উৎপাদন কমেছে সিলেট বিভাগে। পশু খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, আগস্টের পটপরিবর্তনসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এবারও প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে অবৈধ পথে কুরবানির পশু আসা নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয় খামারিরা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বিভাগের খামারগুলোতে প্রস্তত করা হয়েছে কুরবানিযোগ্য ৩ লক্ষাধিক পশু।
সিলেট বিভাগের ৪ জেলার বিভিন্ন খামারে কুরবানির জন্য প্রস্তুত ৩ লক্ষাধিক গবাদি পশু।এবারও স্থানীয়ভাবে পশু দিয়ে চাহিদা মিটানো সম্ভব। খামারে ছোট, মাঝারি ও বড়- সব ধরনের কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলছে, এবার কুরবানিযোগ্য পশুর কোন ঘাটতি নেই। এবছর বিভাগে কুরবানী পশুর চাহিদা আছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৭৭টির। প্রস্তুত আছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৫১৫টি।
গেল বছর ঈদুল আযহায় বিভাগে কুরবানীযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭টি। আর চাহিদা ছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১টির। গত বছর উদ্বৃত্ত ছিল ৩৬ হাজার ১৪৬টি পশু।
খামারিরা জানান, পশুখাদ্যের দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ভারত থেকে গরু প্রবেশ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ক্রেতারা বলছেন, বেশি লাভের আশায় খামারিরা দাম না ছাড়ায় বাইরে থেকে আসা পশুর বিকিকিনি বেশি থাকে।
সিলেট বিভাগে ৩৭ হাজারের বেশি পশু উদ্বৃত্ত থাকার পরও বিভিন্ন জেলা থেকে পশু আসবে। ঈদের হাটে পশুর সংকট হবে-না।
জুলাই অভ্যুত্থানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উৎপাদন-চাহিদা কমলেও ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর সংকট হবে না- এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।