কুষ্টিয়া, শেরপুর ও দিনাজপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু

- আপডেট সময় : ০২:৪১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০
- / ১৬০৯ বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়া, শেরপুর ও দিনাজপুরে করোনার উপসর্গ- জ্বর সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব পরিবারের আশেপাশের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় চৌড়হাসে ৪০ বছর বয়সী এক ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে। গত তিনদিন ধরে ওই ইজিবাইক চালক জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি ও গলা ব্যথা অনুভব করছিলেন।সকালে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিকে এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমন ছিল কিনা তা নিশ্চিত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রচলিত সংক্রামক ব্যাধির নিয়মনুযায়ী দাফন করার শর্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, খবর পাওয়ার পরেই মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে ঐ এলাকায় জনগণের চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।
দিনাজপুরের বিরামপুরে, কুমিল্লা থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে ফেরা এক যুবকের গেলো রাতে মৃত্যু হয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই যুবক কয়েকদিন আগে কুমিল্লা থেকে জ্বর সর্দী কাশি নিয়ে বিরামপুরে আসে।ভয়ে সে কোন সরকারী হাসপাতালে না যেয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি আইইডিসিআর-কে জানানো হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের পর মৃতদেহ আইইডিসিআর-এর নির্দেশনা মেনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে করোনার উপসর্গ নিয়ে আব্দুল আউয়াল নামের এক নির্মাণ শ্রমিক ৩ দিন জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগে মারা গেছেন। নালিতাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ পলাশীকুড়া গ্রামে গতরাত ১০টায় তিনি মারা যান। এই ঘটনায় ১০টি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। স্থানীয়রা জানান, আব্দুল আউয়াল খুলনার রামপালে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরার পর থেকেই জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গতরাতে উচ্চ শ্বাসকষ্টে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় ওই এলাকার দশটি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। তার দেহ থেকে স্থানীয়ভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।