করোনার এক বছরে অন্তত ৩শ’ গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে

- আপডেট সময় : ০১:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১
- / ১৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
করোনার এক বছরে অন্তত ৩শ’ গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া সাড়ে ৪শ’ প্রতিষ্ঠিত গার্মেন্টস এখন সাব কন্ট্রাক্টে কাজ করছে। উদ্যোক্তারা বলছেন এভাবে চলতে থাকলে দক্ষ জনবল সংকটের পাশাপাশি অচিরেই মুখ থুবরে পড়বে এই শিল্পের ভবিষ্যত। আর বিজিএমইএ বলছে করোনাকালে অর্ডার কমে যাওয়ার পাশাপাশি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মুল্যও কমিয়ে দিয়েছে বায়াররা। এই বাস্তবতায় সরকার ও ব্যাংকের সহযোগীতা না পেলে অধিকাংশ গার্মেন্টসই বন্ধ হয়ে যাবে অচিরেই।
গেল বছরের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে করোনার প্রভাব শুরু হলেও পোশাক শিল্পের ওপর এর প্রভাবপড়তে শুরু করে ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে। মাঝের কিছু সময় অর্ডার বাড়লেও এখন ফের মন্দা নেমেছে রপ্তানীমুখী এই শিল্পে। কারণ ২০১৮ সালের প্রথম চার মাসের বিপরীতে ২০২১ এর এই সময়ে অর্ডারে এবং দাম দুটোই কমেছে।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই এক বছরে প্রতিযোগীতায় টিকতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক কারখানা। এছাড়া আগে যারা সরাসরি বায়ারের কাজ করতেন এখন করোনার ভয়াবহতায় ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখতে না পেরে সাবকন্ট্রাক্টে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সিএন্ডএফ, ফ্রেইট ফরোয়াডার্স, শিপিং এজেন্টসহ বেসরকারী অনেক প্রতিষ্ঠান সমৃদ্ধ হয়েছে শুধুমাত্র গার্মেন্টসের ওপর ভিত্তি করে। তাই এই সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সবখানে।
করোনাকালে টিকে থাকতে শুধুমাত্র সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে প্রণোদোনা ঋণসহ নানাভাবে পলিসিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু নানান শর্ত জুড়ে দেয়ায় এসব সুযোগ সুবিধার প্রায় সবটায় পাচ্ছে বড় শিল্পগোষ্টি। করোনার এক বছর পর এসে ক্ষুদ্র ও মাঝারী গার্মেন্টসগুলোকে টিকিয়ে রাখতে আলাদা উদ্যোগ চান সংশ্লিষ্টরা।