এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে দেড় কিলোমিটার দূরের স্কুলে যায় শিশু শ্রাবণ

- আপডেট সময় : ০৪:৪৫:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
- / ১৫৬৭ বার পড়া হয়েছে
এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে দেড় কিলোমিটার দূরের স্কুলে যায় সাত বছরের শিশু শ্রাবণ। সড়ক দুর্ঘটনায় এক পা হারিয়েছে সে। ওই দুর্ঘটনায় মা মারা যাওয়ার পর আরেকটি বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন বাবা। কিন্তু, সৎ মায়ের সংসারে ঠাঁই হয়নি শ্রাবণের। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে শিশুটিকে স্বাবলম্বী করে তোলার আশায় স্কুলে ভর্তি করেছেন দাদী। অসহায় শিশুটির জন্য সহযোগিতা চান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
বছর দুয়েক আগে, গোদাগাড়ীতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন শ্রাবণ কুমার ভট্টাচার্যের মা। তখন শ্রাবণের বয়স ৫ বছর। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন বাবা হারাধন কুমার। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য টাকার যোগান না থাকায়, সারাজীবনের মতো পা হারায় অবুঝ শিশুটি।
দুর্ঘটনার কিছুদিন পরই নতুন বিয়ে করেন শ্রাবনের বাবা। কিন্তু সৎ মায়ের সংসারে টিকতে না পারায়, চাচার সংসারে ঠাঁই নেয় দাদীর আশ্রয়ে। টানাটানির সংসারে তিনবেলা ঠিকমতো খাবার জোটে না। তবু একবুক আশা নিয়ে, নাতীকে পাশের গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করেছেন দাদী।
কখনো দাদীর কোলে চড়ে, কখনোবা এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যায় শ্রাবণ।
ক্লাসে খুবই মনোযোগী সে। কিন্তু যখন স্কুল আঙিনায় সহপাঠীরা মেতে ওঠে খেলাধুলা আর হৈ-হুল্লোড়ে, তখন নির্বাক চোখে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় থাকে না শ্রাবনের।
অসহায় শিশুটির জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক।