ঈদ উদযাপনে শেকড়ের টানে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ

- আপডেট সময় : ০১:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
- / ১৫২৬ বার পড়া হয়েছে
কোরবানির ঈদ উদযাপনে শেকড়ের টানে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ।সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কেউ বেছে নিচ্ছেন ট্রেন, কেউবা আবার বাসে চড়েই ছুটছেন প্রিয়জনের সান্নিধ্যে পাবার আশায়। তবে যাত্রী সংকটের কারণে লোকসান গুণেই ঈদের ঘরমুখো মানুষকে সেবা দেয়া বলে দাবী করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আর ট্রেনের তুলনায় বাস টার্মিনালগুলো যাত্রী সংখ্যা ছিল তুলনামুলক বেশী। ছিল কাঙ্খিত পরিবহনের জন্য অপেক্ষার দীর্ঘ সারি। তবে সেই ভোগান্তির জন্য সড়কের যানজটকেই দুষছেন পরিবহন মালিকরা
দুদিন পরই ঈদ। অথচ কমলাপুর রেলষ্টেশনে নেই চিরচেনা সেই ব্যস্ততা। টিকেট কাউন্টারগুলোতে নেই যাত্রীদের সার বাইরের মত ভেতরেও সেই একই দৃশ্য। কোলাহল মুক্ত প্লাটফর্মে গুটি কয়েক যাত্রীর আনাগোনা। উঠার সময় নেই কোন তাড়াহুড়ো।ট্রেনে ভেতর অপেক্ষমাণ যাত্রীরা জানান তাদের অনুভূতির কথা।
তবে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার স্বার্থে বাড়ি ফিরতে ট্রেনই ছিল অনেকের প্রথম পছন্দ।বড়দের এই ঈদ যাত্রায় সঙ্গী ছিল ছোটরাও। কেউ দাদু বাড়ী কেউবা নানু বাড়ী যাবার আনন্দে ছিল উৎফুল্ল।তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনার সংক্রমণ এড়াতে মাত্র ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হলেও যাত্রী সংকটে তাও পুরণ হচ্ছে না, লোকসান মেনেই ঈদের বাড়ি ফেরা মানুষকে সেবা দিচ্ছেন তারা।
সবেশেষ প্রিয়জনের মুখ দেখতে আকুল হয়ে থাকা মানুষগুলোকে নিয়ে, যন্ত্রের ট্রেনও একসময় প্রাণ ফিরে পায়, সবার প্রত্যাশা একটাই, নিরাপদে গন্তব্যে পৌছানো।অন্যদিকে ট্রেনের চেয়ে বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীর ভীড় ছিল তুলনামুলক বেশী। মহাখালী বাস টার্মিনালে দেখা যায় যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। কাঙ্খিত বাসের অপেক্ষায় যাত্রীদের অভিযোগের জবাবে সড়কের যানজটকেই কারণ হিসেবে দাড় করেন পরিবহন মালিকরা। বাসের পছন্দের সিটে বসে থাকা মানুষগুলোর মাঝে তৃপ্তির ছাপ। তবে ফিরতি যাত্রায় যাত্রী না থাকায় বাস চালকদের মাঝে ছিল ক্ষোভ ও হতাশা।
অম্লমধুর এতসব অনুভূতির মাঝেই ঘুরমুখো মানুষদের নিয়ে বাস ছুটে চলে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে।