ইভিএমে ভোট গ্রহণ নিয়ে ফের মুখোমুখি অবস্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি

- আপডেট সময় : ০৬:২৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫৮৪ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ নিয়ে ফের মুখোমুখি অবস্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ইভিএমে আপত্তি জানিয়ে বিএনপি বলছে, ইভিএমে করতে হলে মেশিন পরিচালনায় সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্তিসহ দুই দফা দাবি মানতে হবে। আর আওয়ামী লীগ বলছে, ইভিএমের ব্যর্থতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে এখন নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের আদলে ইভিএমে ভোটার ভেরিফাইড অডিট পেপার ট্রিল বা ভিভিপিটি সিস্টেম চালু করে দুই দলের দাবির মাঝখানে অবস্থান নেয়ার সুযোগ আছে নির্বাচন কমিশনের।
নির্বাচন কমিশনের তফসীল অনুযায়ী আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। প্রথমবারের মতো পুরো নির্বাচনটি ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু বরাবরের মতো নতুন এই পদ্ধতিতে আপত্তি জানিয়ে বসেছে বিএনপি। মেশিনের বদলে ব্যলটের দাবি, আর তা যদি সম্ভব না হয় তবে ব্যলেট প্যানেলে সেনা সদস্য নিয়োগ ছাড়াও প্রিজাইডিং অফিসারের হাতে ১ শতাংশের বেশি ভোট দিতে নারাজ দলটি। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর দাবি, নির্বাচনে পরাজয় বুঝতে পেরেই নির্বাচন পদ্ধতীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে বিএনপি।তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কমে যাওয়ায় প্রমান করে ইভিএমের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না সাধারণ মানুষ। তাই এই সিস্টেমকে আরো আধুনিকায়নের দাবি তাদের।
সাম্প্রতিক চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন সহ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ইভিএমে। সবগুলো নির্বাচনের ভোট পড়েছে মাত্র ২০ শতাংশের কিছু বেশি। ভোটার উপস্থিতির এই করুণ দশাকে গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত হিসেবে মনে করেই বিশ্লেষকরা।