আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও খুলনাবাসীর সুপেয় পানির স্বপ্ন পূরণ হলো না

- আপডেট সময় : ০২:৩৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
সাত বছর অপেক্ষা, আর আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও খুলনাবাসীর সুপেয় পানির স্বপ্ন পূরণ হলো না। এতো ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের পর, নগরবাসী যে পানি পাচ্ছে- তা লবণাক্ত এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পানের অযোগ্য। পাশাপাশি পানির দাম বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ বিশিষ্টজনেরা এর কঠোর সমালোচনা করেছেন। তবে ওয়াসা বলছে, উৎসস্থল মধুমতির পানিতে লবণাক্ততার কারণে এমনটা ঘটেছে। বৃষ্টি হলেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
খুলনা মহানগরীর ১৫ লাখ মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে ২০১৩ সালে আড়াই হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প হাতে নেয় ওয়াসা। ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল এই প্রকল্পের। কিন্তু ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় বাড়ানো হয়। নতুন প্রকল্প থেকে ২২ হাজার হোল্ডিং এ মিলছে পানি; তবে তা ব্যবহার অযোগ্য।
নগরবাসী বলছেন, ওয়াসার সরবরাহকৃত পানি সুপেয়োতো নয়, বরং ব্যবহার অযোগ্য। অনেক ক্ষেত্রে দূগন্ধযুক্ত লবনাক্ত পানি পাচ্ছেন তারা, যা ব্যবহার অযোগ্যও বটে।
নগারিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলছেন ওয়াসা মানহীন পানি সরবরাহ করলেও এবছর ২০ ভাগ বাড়িয়েছে পানির মুল্য। যা ন্যাংসঙ্গত নয়। খুলনা মহানগরীতে পানি সরবরাহের প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে নগরবাসীর সুপেয় পানি মিলত।
তবে ওয়াসা বলছে, মধুমতি নদী থেকে মহানগরবাসরী জন্য পানি আনা হয়; সেখানে লবনাক্ততা বাড়ায় এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেই বিশ্বমাসের সুপেয় পানি মিলবে।
শুধু আশ্বাস নয়, এই গ্রীষ্মে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওয়াসার কাছ থেকে সুপেয় পানি নিশ্চিতের দাবি নগরবাসীর।