‘আম্পান’ সিডরের চেয়েও বেশি শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে

- আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
- / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ সিডরের চেয়েও বেশি শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এর আঘাতে উপকূলে ১০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান; বুধবার ভোরে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে। একারণে বুধবার সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আম্পান’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে বুধবার ভোরে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিঃমিঃ মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। পাশাপাশি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।