‘আম্পান’ মোকাবিলায় দেশের সব উপকুলীয় জেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি

- আপডেট সময় : ০৭:৫২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
- / ১৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ মোকাবিলায় দেশের সব উপকুলীয় জেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে অধিবাসীদের সাইক্লোন সেল্টারে নেয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি সাইক্লোন সেল্টারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকারও ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সমুদ্রে ও নদীতে মাছ শিকারে ব্যস্ত জেলেরা এরই মধ্যে তীরে এসে ঘাটে নোঙ্গর করেছে।
ঘুণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় ব্যপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রামের প্রশাসন। সাইক্লোন সেন্টারগুলো প্রস্তুত করার পাশাপাশি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বন্দরের সব ধরণের অপারেশন কাজ। তবে দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ার কোন লক্ষণ দেখা না গেলেও করোনার কারণে সামাজিক দুরত্বের কথা মাথায় রেখে উপকুলের মানুষদের জন্য সাড়ে তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সাইক্লোন সেন্টার ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান ও জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ঘুর্ণিঝড় পরবর্তি উদ্ধারকাজের জন্য নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সুপার সাইক্লোন আম্পান মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে দ্বীপ জেলা ভোলায়। উপকূলের বাসিন্দদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে মাইকিং করছে সিপিপি কর্মীরা। ইলিশাসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা মাইকিং করে। এদিকে নদী ও সাগরের মাছধরা জেলেরা তীরে ফিরতে শুরু করেছে। ঘাটে নোঙ্গর করা হয়েছে শত শত জেলে নৌকা। জেলায় ৭ নাম্বার বিপদ সংকেত থাকায় উপকূলের মানুষ নিরাপদে আসতে শুরু করেছে। সর্বোচ্চ প্রস্তুতি হিসাবে ভোলার ২১ চরের ৩ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসন।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় এলাকার মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম আবুজর গিফারী। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থানের পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রে মাস্ক ও সাবানের ব্যবস্থাসহ আইসোলেসন রুমের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। আর জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় মোট আশ্রয় কেন্দ্র ১ হাজার ২৭২টি। এছাড়া কালিগঞ্জে নতুন আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৮৭টি। এতে ৫ লক্ষ ২২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে খুলনার ৩৪৯টি সাইক্লোন শেল্টার। এতে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক। খুলনা সিভিল সার্জন অফিস ৯টি উপজেলায় ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। সাইক্লোন প্রিপার্ডনেস প্রোগ্রামের ২ হাজার ৪৬০ জন এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার ১ হাজার ১০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটা উপজেলার সব স্কুল-কলেজকে সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।