আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রামবন্দর ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছে ভারত
- আপডেট সময় : ০১:৫৮:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
- / ১৬১৯ বার পড়া হয়েছে
আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রামবন্দর ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছে ভারত। আগামীকাল যে কোন সময় ভারতীয় পণ্য বোঝায় চারটি কন্টেইনার নিয়ে এমভি সেজুতি নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভিড়বে। এরপর বন্দর ও কাস্টমসের দাফতরিক কাজ শেষে মাশুলের বিনিময়ে সড়কপথে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যে যাবে কন্টেইনারগুলো। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্টের সব শর্ত মেনেই অপারেশন পরিচালনা করবেন তারা। আর বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, উপযুক্ত মাশুল পেলে ট্রান্সশিপমেন্টে আপত্তি নেই, তবে এতে করে জাতীয় স্বার্থ বিঘ্নিত না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে সবার আগে।
নানা আলোচনা-সমালোচনার পর চট্টগ্রাম বন্দর ও বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহার করে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পণ্য পরিবহন শুরু করতে যাচ্ছে ভারত। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই এই সুযোগের পরীক্ষমুলক ব্যবহার শুরু হবে। ইতিমধ্যে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর থেকে ১০৮ টি পণ্যবোঝায় কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্যেশে যাত্রা শুরু করেছে এমভি সেজুতি নামের একটি মাদার ভেসেল। এই জাহাজের রড বোঝাই ২ টি কন্টেইনার যাবে ক্রিপুরা রাজ্যের এস এম কর্পোরেশনে আর ডাল বোঝায় আরো দুট কন্টেইনার বুক হয়েছে ত্রিপুরার জেইন কর্পোরেশনের নামে।
কন্টেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে নামার পর শুল্কায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহার করে আখাউড়া হয়ে প্রবেশ করবে ভারতে । ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, উৎসব-পার্বন ও বাজেটের আগে-পরে মিলিয়ে বছরের ৫ থেকে ৬ মাসই ইয়ার্ডে কন্টেইনার ও বহি:নোঙ্গরে জাহাজের জট লেগেই থাকে । এই বাস্তবতায় ট্রান্সশিপমেন্টের ব্যস্ততা বাড়ার আগে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, মাশুলের বিনিময়ে ট্রান্সশিপমেন্টের বিরোধিতা করার সুযোগ নেই। কিন্তু এতে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে সবার আগে। আর বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রান্সশিপমেন্টের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়মে কোন ছাড় দেবে না বন্দর।
চুক্তির শুরুতে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য ডেটিকেটেড জেটির দাবি করেছিলো ভারত। কিন্তু জেটি স্বল্পতার কারণে বার্থিংয়ে অগ্রাধিকার দিতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ।





















