আগুনে পোড়া আহত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
- আপডেট সময় : ০৬:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৬১০ বার পড়া হয়েছে
আগুনে পোড়া কিংবা বিস্ফোরণে আহত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। পুরো চট্টগ্রাম বিভাগের প্রায় তিন কোটি মানুষের চিকিৎসার জন্য মাত্র ২৬ শয্যার একটি বার্ন ইউনিট থাকলেও সেখানে আইসিইউসহ আধুনিক কোন সরঞ্জাম নেই। এদিকে চীন সরকারের সহায়তায় একশো শয্যার প্রস্তাবিত বিশেষায়িত হাসপাতালটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। তবে জেলা প্রশাসনের দাবি- বেসরকারী একটি হাসপাতালকে অধিগ্রহণসহ দুটি জায়গা নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিত্র এটি। ২৬ শয্যার এই ইউনিটটিতে সবসময় রোগী থাকে গড়ে ৬০ জন। তাই বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপুর্ণ এসব রোগীর চিকিৎসা দিতে হয় মেঝেতে রেখে। আগুনে পোড়া বা বিস্ফোরণে আহত রোগীদের চিকিৎসায় ডেটিকেটেড আইসিইউ বেডসহ উন্নত সরঞ্জামের প্রয়োজন থাকলেও তার কিছুই নেই চট্টগাম মেডিকেলে। এজন্য ১০ শতাংশের বেশি পোড়া হলে সেসব রোগীকে পাঠাতে হয় ঢাকায়।
হাসপাতালের পরিচালক জানান, বিপুল শিল্প-কারখানা অধ্যুষিত এই বাণিজ্যিক নগরীতে একশো শয্যা বিশিষ্ট আলাদা বিশেষায়িত হাসপাতালের বিকল্প নেই।
আর সিভিল সার্জন জানালেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কম্পাউণ্ডে আর জায়গা না থাকায় চীন সরকারের সহায়তায় ১শ’ শয্যার একটি বার্ণ হাসপাতাল তৈরীর প্রকল্প আটকে রয়েছে। জমি বরাদ্দে তাগিদ দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।
এদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বার্ণ হাসপাতালের জন্য জায়গা খুঁজছে তারা। প্রাথমিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি হলিক্রসেন্ট হাসপাতাল অথবা কাট্টলীতে রেলওয়ে ম্যালেরিয়া হাসপাতালের নির্ধারিত জায়গায় নতুন বার্ণ হাসপাতাল স্থাপনের প্রস্তাবনা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আগুনে পোড়া রোগী বাড়তে থাকায় ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ১৩টি বেড দিয়ে শুরু হয় বার্ণ ইউনিটের কার্যক্রম। ২০১২ সালে তা ২৬ শয্যায় উন্নীত করা হলেও আধুনিক সরঞ্জাম যুক্ত করা হয়নি এখনো। ফুটেজ-১


















