অস্তিত্ব সংকটে শেরপুরের বেশিরভাগ নদ-নদী

- আপডেট সময় : ০৬:১২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
- / ১৭৫৬ বার পড়া হয়েছে
দখল-দূষণ ও নাব্য হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে শেরপুরের বেশিরভাগ নদ-নদী ও খাল-বিল। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে অনেক নদী ও খাল। আবার কিছু নদীর বুকে চলছে চাষাবাদ, নির্মাণ করা হয়েছে ঘর-বাড়িসহ নানা স্থাপনা। তবে, নদ-নদী রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি নদী; অথচ এক সময়ে শেরপুরের নকলা উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুতি নদীতে ছিল অথৈ জল। স্থানীয়দের প্রশান্তির জায়গা। আর স্থানীয় অনেকেই সু-স্বাদু মিঠা পানির মাছ সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু সেই নদী এখন প্রভাবশালীদের দখলে।
শুধু সুতি নদী নয়, একইভাবে জেলার বেশিরভাগ নদ-নদী ও খাল-বিল দখল করে কোথাও হচ্ছে চাষাবাদ, কোথাও তৈরি হয়েছে ঘর-বাড়িসহ নানা স্থাপনা।
আর নদী খননের উদ্যোগ না থাকায় নাব্য হারিয়ে নদীগুলো আজ প্রবাহহীন। অবৈধভাবে ভরাট আর খননের অভাবে খারুয়া, ভুরাঘাট, খড়িয়াসসহ ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৮টি নদ-নদী ও খাল-বিল এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, দখলমুক্ত করে নদী রক্ষায় তৎপতার কথা কথা জানান জেলা প্রশাসক।
দেড়’শ বছর আগের প্রাচীন ঐতিহাসিক গ্রন্থে শেরপুরে ১৬টি প্রধান নদী ও ৯টি ক্ষুদ্র নদীর নাম উল্লেখ রয়েছে। অথচ বর্তমানে টিকে আছে ব্রহ্মপুত্র, মালিঝি, সোমেশ্বরী, মহারশি, মৃগী, চেল্লাখালি, ভোগাই নদী।