অবৈধ বসতি উচ্ছেদে এবার চট্টগ্রামের সব পাহাড় অধিগ্রহণ ও সংরক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছে সিডিএ

- আপডেট সময় : ০২:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
- / ১৫৬২ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অবৈধ বসতি উচ্ছেদে এবার সব পাহাড় অধিগ্রহণ করে সংরক্ষণের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে সিডিএ। এই পরিকল্পনা নিয়ে নতুন মাস্টার প্লান তৈরীর কাজও শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
নগরবিদরা বলছেন, এমন উদ্যোগ ভালো; তবে তা বাস্তবায়ন করা কঠিন। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসন আন্তরিক হলে অধিগ্রহণ ছাড়াও পাহাড় সংরক্ষণ করা সম্ভব
চট্টগ্রামে পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা মানুষের সঠিক পরিসংখ্যন নেই কারো কাছে।
যদিও ২০১৯ সালে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির করা তালিকায় নগরীর ১৭ টি পাহাড়ে ঝুঁকিপুর্ণ বসতি রয়েছে মাত্র ৮৩৫ টি। বাস্তবে এর সংখ্যা কয়েক’শো গুণ বেশি।
অবৈধ বসতি উচ্ছেদে বছরে ৮ থেকে ১০ বার অভিযান চালায় প্রশাসন। কিন্তু সুফল আসছে না। তাই সব পাহাড়ের মালিকানা নিজেদের কব্জায় নিয়ে উদ্যোগ নিতে চায় সিডিএ।
নগরবিদরা বলছেন, ব্যক্তি মালিকানার পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন সংস্থা চট্টগ্রামের অধিকাংশ পাহাড়ের মালিক।
তাই এককভাবে কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পাহাড় রক্ষণাবেক্ষন সম্ভব নয়। তবে সিডিএ’র পরিকল্পনাকে ইতিবাচক বলছেন তারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রচলিত আইনেই পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণের যথেষ্ট ক্ষমতা দেয়া আছে প্রশাসনকে। সরকারের স্বদিচ্ছা আর প্রশাসনের আন্তরিকতা থাকলে অধিগ্রহনের নামে অর্থের অপচয়ের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই।
প্রশাসনের হিসেবে চট্টগ্রামে ১৫ বছরে পাহাড় ধসে ৪ শাতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ২০০৭ সালে শুধু একদিনে মারা যায় ১২৭ জন।
মুলত এরপর থেকেই পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপুর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদে নানামুখি পরিকল্পনা নেয় সরকার। কিন্তু সব পরিকল্পনায় থাকছে কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ।