৭১ সালের ৮ই ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় ময়মনসিংহ, নড়াইল, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া ও পটুয়াখালী
- আপডেট সময় : ০১:২৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৬৩ বার পড়া হয়েছে
১৯৭১ সালের ৮ই ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় ময়মনসিংহ, নড়াইল, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া ও পটুয়াখালী।
ময়মনসিংহের ভালুকা মুক্ত দিবস আজ। এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ ‘আফসার বাহিনীর নিকট পাকহানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে মুক্ত হয় ভালুকা। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করতে ময়মনসিংহ দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর নিয়ে এফজে-১১নং সাব-সেক্টর গড়ে তোলেন বৃটিশ ভারতের অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ।
নড়াইল মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এ দিনে ৮নং সেক্টরের অধীনে লোহাগড়ার মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে লোহাগড়া থানাকে পাক হানাদার মুক্ত করে সেদিন উড়িয়ে ছিলেন বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা।
১৯৭১ সালের এই দিনে মৌলভীবাজার পাক হানাদার মুক্ত হয়। ৮ ডিসেম্বর মুক্ত নি:শ্বাস ফেলে, মুক্ত ভূমিতে মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দারা ফিরে আসেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিল মৌলভীবাজারবাসী ২৭ মার্চেই এক সশস্ত্র প্রতিরোধের মধ্যদিয়ে। আওয়ামীলীগ, ন্যাপ, ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এই সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামে।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী কুমিল্লা বিমানবন্দরে পাক বাহিনীর ২২ বেলুচ রেজিমেন্টের প্রধান ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করে।মিত্রবাহিনীর ১১ গুর্খা রেজিমেন্টের আর.কে মজুমদারের নেতৃত্বে কুমিল্লা বিমানবন্দরের তিনদিক থেকে আক্রমণ চালানো হয়। সীমান্তবর্তী বিবির বাজার দিয়ে লে. দিদারুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল এবং অপর দুটি দল গোমতী নদী অতিক্রম করে কুমিল্লা শহরের ভাটপাড়া দিয়ে এবং চৌদ্দগ্রামের বাঘেরচর দিয়ে এসে বিমানবন্দরের পাকসেনাদের ঘাঁটিতে আক্রমণ করে। রাতভর পাকবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
একপর্যায়ে পাকসেনাদের বিমানবন্দরের প্রধান ঘাঁটি দখলে নেয় মুক্তিসেনারা।
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টিতে ১৯৭১ সালের ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জেলার একমাত্র সম্মুখযুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মাত্র ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী মিলে নাস্তানাবুদ করে পরাজিত করেছিলো প্রায় ৩৭৫ পাক সেনাদের। ৮ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় পটুয়াখালী জেলা।




















