সিকিমের বন্যায় তিন হাজার পর্যটক অবরুদ্ধ
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ১২:৪১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
 - / ১৮১৯ বার পড়া হয়েছে
 
সিকিম সরকারের তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র লাচেন এবং লাচুংয়েই প্রায় তিন হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। উত্তর সিকিমের লাচেন এবং লাচুং বছরের এই সময় ভরে থাকে পর্যটকে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আচমকা বন্যায় ওই অঞ্চলের মূল রাস্তাভেঙে পড়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন একটি রাস্তা খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চুংথাং হয়ে সেই রাস্তা অন্য দিক দিয়ে লাচেনের দিকে ঢুকবে। সেনা বাহিনী ওই রাস্তা দ্রুত খুলে পর্যটকদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করবে।
ভারতীয় সেনা বাগডোগরা এবং চাটেন থেকে এম-১৭ হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধারকাজের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু ঘন মেঘ এবং বৃষ্টির জন্য হেলিকপ্টার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আপাতত সড়কপথেই উদ্ধারকাজে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
ইন্দোটিবেটান বর্ডার পুলিশকেও (আইটিবিপি) উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে। এরইমধ্যে সিকিমের আবহাওয়া দপ্তর নতুন করে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা আছে।
এদিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনো দেহ উদ্ধার হচ্ছে। বহু দেহ তিস্তায় ভেসে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়েছে। গত দুই দিনে নদী থেকে এমন বেশ কিছু দেহ উদ্ধার হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের সীমানা সিংথাম, রংপোয় কর্মীরা কাজ করছেন। সেখানে বহু দেহ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু ওই অঞ্চল থেকে উত্তর সিকিমের দিকে এখনো খুব বেশি উদ্ধারকারী যেতে পারেননি। রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ। ছোট ছোট দল ট্রেক করে উত্তর সিকিমে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
এখনো পর্যন্ত চুংথাংয়ে যারা পৌঁছাতে পেরেছেন তারা জানিয়েছেন, গোটা শহরের আশি শতাংশ ফ্ল্যাশ ফ্লাডে ধ্বংস হয়ে গেছে। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। একই অবস্থা লাচেন এবং লাচুংয়ের। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সিকিমের অন্তত ১৩টি সেতু ভেঙে পড়েছে। এর আগে ভয়াবহ ভূমিকম্পে একসময় বিপুল ক্ষতি হয়েছিল।
এদিকে সিকিমে তিস্তার বাঁধ ঙেঙে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ জল নামতে শুরু করেছে। গজলডোবার বাঁধও বেশি পরিমাণ জল ছাড়ছে। এই পরিমাণ আরো বাড়লে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ভাসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ
																			
																		















