সহিংসতায় উত্তপ্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি
 
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ১১:২২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ২২১৪ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ে সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারের তিন উপদেষ্টা। রাঙামাটি সেনানিবাসে স্থানীয় রাজনীতিক ও পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তারা এ ঘোষণা দেন। সভায় অংশ নেয়া বিভিন্ন সংগঠন ও দলের নেতাদের দাবি, পাহাড়ের শান্তি নষ্ট করতেই পতিত স্বৈরাচার সরকারের অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা করছে। পরিদর্শনের পরও পরিস্থিতি এখনো থমথমে।
সহিংসতায় উত্তপ্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শুক্রবার খাগড়াছড়িতে তিনজন নিহত হওয়ার পর সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে রাঙামাটিতেও। সেখানেও নিহত হন একজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। বন্ধ রয়েছে যান চলাচল ও দোকানপাট।
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে মত বিনিময় করতে রাঙামাটির সেনা সদরে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ে প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ।
এর আগে সভাস্থলে উপস্থিত হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জাতিগোষ্ঠী ও সংগঠনের নেতারা।
দুই ঘন্টারও বেশি সময় রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ জানান, পাহাড়ে সম্প্রীতি নষ্টে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা অবনতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার আহবান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না তাও ক্ষতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে, পাহাড়ে সম্প্রীতি ধারা বজায় রাখতে সবাই ঐক্যবদ্ধ বলে জানান স্থানীয় রাজনীতিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
দুই দিনের সংঘর্ষে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। দুই জেলায় আহত হন শতাধিক।

 
																			 
																		

























