লকডাউনেও স্বাভাবিক রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম
- আপডেট সময় : ০১:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
- / ১৬০১ বার পড়া হয়েছে
লকডাউনেও স্বাভাবিক রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। পণ্য ডেলিভারি কিছুটা কমলেও জাহাজীকরণের কাজ আছে একেবারেই স্বাভাবিক। তবে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় আসা-যাওয়ার পথে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বন্দর ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের দাবি বিষয়টি নিয়ে আরো আগ থেকেই প্রশাসনের সাথে সমন্ময় করা দরকার ছিলো বন্দর কর্তৃপক্ষের।
মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। তবে জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দর ও আমদানী রপ্তানী কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এই লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
বন্দরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক সাড়ে তিন থেকে চার হাজার আমদানী পণ্যবাহী কন্টেইনার ডেলিভারি হলেও এখন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার কন্টেইনার ডেলিভারি হচ্ছে। প্রায় সমপরিমান রপ্তানীমুখি কন্টেইনার জাহাজীকরণও হচ্ছে। বিশাল এই কর্মযোগ্য পরিচালনায় প্রায় ২৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকের সঙ্গে অন্তত ৫০ হাজার মানুষের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কিন্তু লকডাউনে রাস্তায় মানুষ চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দরের পরিচয়পত্রধারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা বাধার সম্মুখিন না হলেও কন্টচুয়াল শ্রমীক কর্মচারী এমনকি শিপিং এজেন্ট, সিএণ্ডএফ, ল্যাবসহ সংশ্লিষ্ট অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাই বাধার সম্মুখিন হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সংকটের সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে বন্দরের তরফ থেকে।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্ময় করা উচিত ছিলো বন্দর কর্তৃপক্ষের।
গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় দেশী বিদেশী মিলিয়ে ৯৮ টি জাহাজের অবস্থান ছিলো। এরমধ্যে বহি:নোঙ্গরে ৪৫ টি আর জেটিতে ১৫ জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা নামার কাজ চলেছে।
























