রাজশাহী মেডিকেলে ২ কোটি টাকার টেন্ডারে অনিয়ম

- আপডেট সময় : ০২:২২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১
- / ১৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
ক্ষমতাসীন দলের ঠিকাদারদের অনিয়মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ কোটি টাকার টেন্ডারের সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনা যায় নি। সরকার এ খাতে বরাদ্দ দিলেও বাইরে থেকে নিজেদের টাকাতেই সার্জিক্যাল সরঞ্জাম কিনতে হচ্ছে তাদের।এরইমধ্যে শেষ হয়ে গেছে কার্যাদেশের মেয়াদ। অর্থবছর শেষে এখন বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রোগীদের জন্য সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি কিনতে গেলো সেপ্টেম্বরে দরপত্র আহ্বান করেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক। এমএসআর-সি গ্রুপের ৬টি আইটেম যেমন গজ, ব্যান্ডেজ, ক্যাটগার্ড ও কেমিক্যালের জন্য নির্বাচিত হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জানে আলম ট্রেডার্স। প্রায় ২৮ লাখ টাকার মালামাল সরবরাহে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত এই প্রতিষ্ঠানের মালিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রম ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক জানে আলম খান জনি। কিন্তু চুক্তিনামার চিঠি দিয়েও তার সাড়া পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে পার হয়ে গেছে কার্যাদেশের মেয়াদ।
কেমিক্যাল রিএজেন্ট গ্রুপের ৪টি আইটেমের দুই লাখ ৩৭ হাজার টাকার মালামাল সরবরাহের জন্য একই টেন্ডারে ঢাকার এনএইচ ট্রেডার্সকেও ঠিকঠাক করা হয়। চলতি অর্থবছরের শেষেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি করেনি প্রতিষ্ঠানটি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যাতে সুযোগ না পায়, সে কারণেই খেলাপি প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেট করে কারসাজি করছিল।
মালামাল বুঝে না পাওয়ায় হাসপাতালের রোগীদের জন্যেও তা বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে প্রয়োজনীয় উপকরণ বাইরে থেকেই কিনতে হয়েছে তাদের।
এদিকে একই টেন্ডারে পাবনার আরজেডএস এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার পল্লবীর আইয়ান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও নাটোরের এমদাদুল হক কার্যাদেশের চুক্তি মোতাবেক মালামাল সরবরাহ করতে পারে নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, অনিময় ও দুর্নীতির কারণে দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অপচয় হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদেরও।
করোনাকালে সরঞ্জামের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে তা অগ্রহণযোগ্য জানিয়ে, এই ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দুই বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করে চিঠি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।