পার্বত্য জনপদের পরতে পরতে ছড়িয়ে পড়েছে বৈসাবি উৎসবের রঙ
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ০৩:০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
 - / ১৭৩১ বার পড়া হয়েছে
 
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিদের বৈসাবী তথা বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে মেতে উঠেছে পার্বত্য জনপদ। বর্ণিল আয়োজনে পাহাড়ের পরতে পরতে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের রঙ। তিন দিনের আনুষ্ঠানিকতার প্রথম দিনে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ভাসান নৃগোষ্ঠি সম্প্রদায়ের মানুষ। চলছে অতিথি আপ্যায়ন। ঘরে ঘরে রান্না হয়েছে ঐতিহ্যবাহী পাঁজন।
মঙ্গলবার নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠিদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবীর আনুষ্ঠানিকতা। প্রথম দিন ফুল বিজুতে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ভাসিয়ে পুরোনো বছরের দুঃখ গ্লানি দূর করা হয়েছে এমন বিশ্বাস চাকমা ও ত্রিপুরাদের।
ভোরে নৃগোষ্ঠি সম্প্রদায়ের তরুণ তরুনীরা ঐতিহ্যবাহী পোষাক মেয়েদের পিনন খাদি আর ছেলেদের ধুতি পাঞ্জাবী পরে সজ্জিত হয়ে ফুল তোলেন। হ্রদের পারে অনুষ্ঠিত হয় ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য। পরে রীতি অনুসারে বয়স্কদের সম্মানে বয়স্ক স্নাণ অনুষ্ঠিত হয় এবং বস্ত্রদান করা হয়। আজ চলবে ঘরে ঘরে অতিথি আপ্যায়ন। রান্না হবে ঐতিহ্যবাহী পাজন।
বাহারী পিঠা পুলির মাঝে মূল আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী পাঁজন তথা বিশেষ মিশ্রিত শবজি। এ শবজি খেলে দূর হবে শরীরের পুরোনো রোগ ব্যাধী। রমজান হওয়ায় অতিথি আপ্যায়নে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও উৎসবের কমতি নেই।
বৈসাবী উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিদের সংস্কৃতি রক্ষা পাবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরো সুপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে জানালেন পাহাড়ি নেতারা।
পহেলা বৈশাখ বাংলা বর্ষবরণের পরের দিন মারমাদের জলকেলি তথা পানিখেলার মধ্য দিয়ে শেষ হবে বৈসাবী উৎসব।
																			
																		
















