বিস্ফোরণে দগ্ধদের স্বজনের আহাজারি যেন থামছেই না
- আপডেট সময় : ০৭:৩২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৬০৮ বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণে দগ্ধদের স্বজনদের আহাজারি যেন থামছেই না। তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছৈ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতাল এলাকা। নামাজে গিয়ে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ঠাঁই হবে, মেনেই নিতে পারছেন না কেউ। গ্যাস লাইন লিকেজ ও সিস্টেম লসকে দুষছেন পরিবার পরিজনরা।
পৃথিবীতে সবচে ভারী পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। তেমনি একজন আনোয়ার হোসেন। রিকশা প্যাডেল চেপে এতোদিন জুগিয়েছেন একমাত্র ছেলে রিফাতের পড়াশুনার খরচ। এইচএসি পরীক্ষার্থী রিফাতকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতেই তারা বুকফাটা কান্নায় ভারী হাসপাতালের চারিপাশ।
আনোয়ারের মতো আরেক পিতা নুরউদ্দীন। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দপ্তরি তিনি। তিন ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল প্রত্যয়। শুক্রবার মসজিদে নামাজে গিয়ে দগ্ধ হয়ে মারা যায় হতভাগ্য এই বাবার দুই ছেলে।
এই মা বাকরুদ্ধ তার একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে। তার জীবনের আশা আকাঙ্খার প্রতীক ৬ বছরের একমাত্র সন্তান। বাবার সঙ্গে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে ফেরে দগ্ধ হয়ে। এরপর মৃত্যু। হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন তাঁর দগ্ধ স্বামী।
এমন দুর্ঘটানার জন্য গ্যাস লাইনের লিকেজ ও সিস্টেম লচকেই দুষছেন ভূক্তভোগীরা।
স্বজন হারানোর বেদনা ফুটে উঠছে কান্না আর চোখের পানিতে।
















