খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে বন্যা দুর্গত এলাকায়
- আপডেট সময় : ১২:২৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০
- / ১৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর,কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে। খাবারও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে দুর্গত এলাকায়।
চলতি বন্যায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় আবার টানা এক সপ্তাহ পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বিপদসীমার মাত্রাতিরিক্ত উপর দিয়ে প্রবাহিত হবার পর এখন কমতে শুরু করেছে পানি । গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহররক্ষাবাঁধের হাটপয়েন্টে মাত্র ৩ সেন্টিমিটার কমে সকাল ৬টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।
মানিকগঞ্জে যমুনা নদীর পানি জেলার আরিচা পয়েন্টে সকালে বিপদসমীর ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও গেল ২৪ ঘন্টায় মাত্র ৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। ইতোমধ্যে বানের পানিতে সড়ক ভেঙ্গে শহরের সাথে হরিরামপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা বন্ধ হয়েগেছে।
পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের ৩ ইউনিয়নসহ ৭ ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বেড়েছে। ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি কোনরকমে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
পাবনায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে পদ্মা,যমুনাসহ বিভিন্ন নদ নদীর পানি। পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানায়, সকালে যমুনা নদীর পানি নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে বিপদ সীমার মাত্র ১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য কমলেও পেলেও ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘর-বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২ লাখের বেশি বানভাসী মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকাসহ ভাঙ্গনের হুমকিতে থাকা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।























