বিদেশী জাতের কুকুরের খামার করে লাভবান মির্জাপুরের ব্যতিক্রমী এক উদ্যোক্তা

- আপডেট সময় : ০২:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০২২
- / ১৭২২ বার পড়া হয়েছে
বিদেশী জাতের কুকুরের খামার করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ব্যতিক্রমী এক উদ্যোক্তা। কুকুর পালনের সখ থেকে ব্যবসায় পরিণত করেছেন তিনি। বর্তমানে ২৪ প্রজাতির কুকুর রয়েছে তার খামারে। স্বল্প সুদে সরকারী ঋণ সহায়তার পেলে খামারটি আরো বড় করার ইচ্ছে তার।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মহেড়া এলাকার দিলিপ কুমার সাহা। শখের বসে আট বছর আগে নিজ বাড়িতে বিদেশি প্রজাতির তিন চারটি কুকুরের বাচ্চা লালন পালন শুরু করেন। কুকুর ছানাগুলো বড় হয়ে বেশ কয়েকটি বাচ্চা দেয়। বাচ্চাগুলো একটু বড় হতেই এলাকার বিভিন্ন জন কেনার আগ্রহ দেখান । ক্রেতাদের চাহিদা দেখে কুকুরের খামার করার সিদ্ধান্ত নেন দিলিপ। এরপর বাড়ির আঙিনায় অর্ক ক্যানেল নামে খামারে কুকুরের বানিজ্যিক লালন পালন শুরু করেন তিনি ।
বর্তমানে তার খামারে ডগ আর্জিন্টিনা, পিট বল, ইউএস বুলি, কান কোর্সো, ফ্রান্স মার্সিভ, চাউচাউ, রাশিয়ান শামওয়েট, বাছে হাউন, বিগ্রোল ও টিবিভিয়ান মার্সিভসহ ২৪ জাতের ৭০ টি ছোট বড় কুকুর রয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা খামারে এসে নানা প্রজাতির কুকুর দেখছেন।
প্রতিদিনই খামারের কুকুর গুলোর পরিচর্যায় ব্যাস্ত থাকেন কর্মীরা। সন্তানের মতো পরম যত্নে গোসল ও খাবার খাইয়ে লালন পালন করছেন তারা।
বিদেশী জাতের কুকুরগুলির জন্য ভারতের একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারী প্রাণী চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে।
এই পর্যন্ত খামারে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ হয়েছে। স্বল্প সুদে ঋণ পেলে খামারটি পরিচালনা করতে সহজ হবে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক।
খামারটিতে বাসা-বাড়ি ও অফিস পাহারা দেয়াসহ অপরাধের উৎস সন্ধান ও অপরাধীকে চিহ্নিত করার মতো কুকুর রয়েছে। প্রতিটি কুকুরের মূল্য জাত ভেদে বিশ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা।