প্লাবিত হয়েছে অনেক নতুন এলাকা, দেখা দিয়েছে খাবার সংকট
- আপডেট সময় : ০২:২৫:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর, নেত্রকোনা, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে । প্লাবিত হয়েছে অনেক নতুন এলাকা। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার সংকট।
কুড়িগ্রামে দীর্ঘ এক মাস ধরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক চরের ৪ লাখের বেশি মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের কর্মজীবীরা। প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা না মেলায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা।
২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি আরও ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৬ টায় কাজিপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ও সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধের হার্ডপয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় দিনের মত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সাবিক বন্যা পরিস্হিতির আরও অবনতি হয়েছে।
অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ও এসইএস ডি পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। ২১টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।যমুনার পানি কমলেও অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি বেড়ে প্রতিদিনই নতুন নুতন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে জেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
পাবনায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও কমতে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে অনেকএলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন নদীর নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।পানি উন্নয়ন জানায়, জেলার খালিয়াজুড়ির ধনু নদীর পানি ১২০ সেন্টিমিটার এবং কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কংস, ধনু, সোমেশ্বরীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত।























