নোয়াখালী উপকূলে দুর্যোগ মোকাবেলায় নির্মিত ৩০টি মুজিব কিল্লা বেদখলে

- আপডেট সময় : ০৫:০০:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
তদারকি না থাকায় নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ মোকাবেলায় নির্মিত ৩০টি মুজিব কিল্লার প্রায় সবগুলোই বেদখল হয়ে গেছে। এতে কয়েক লাখ গৃহপালিত পশু নিয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। রেডক্রিসেন্টের জেলা ইউনিটের কিছু কর্মকর্তা নিজেদের লোকের মাঝে বরাদ্দ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি রেডক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ। আর, বন্দোবস্তের বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর। দিনভর গোমড়া আকাশে ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রাতে যখন গভীর ঘুমে মানুষ। ঠিক মধ্যরাতে প্রলয়ংকরি ঘূর্ণিঝড় ‘গোর্কি’র হঠাৎ ছোবল। মুহুর্তেই সব লন্ডভন্ড। প্রাণ হারান নোয়াখালীর হাতিয়া-সুবর্ণচরসহ উপকূলের অর্ধলাখ মানুষ। সে থেকে ‘ভয়াল ১২ নভেম্বর’ পালন করে আসছে নোয়াখালীর বিভিন্ন সংগঠন।
এমন ভয়াবহতার পুনারাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে প্রত্যয় নিয়ে উপকূলে আশ্রয়াণ কেন্দ্রের পাশাপাশি ৪০-৫০ ফুট উচ্চতায় নির্মাণ করা হয় ৩৩টি মাটির কিল্লা।
তত্ত্বাবধান, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে পশু-পাখির আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহারের জন্য রেড ক্রিসেন্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয় এসব কিল্লা। অভিযোগ রয়েছে, নিয়ম না থাকলেও সোসাইটির জেলা ইউনিটের কর্তাদের নিজস্ব লোকজনকে মৌখিকভাবে দেয়া হয়েছে লিজ।
তবে দখলে থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বলছে, জোর পূর্বক দখলে যাননি কেউ। বন্দোবস্ত নেয়া ব্যক্তির কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন।
কিল্লা বন্দোবস্ত দেয়ার বিষয়টি জানা নেই প্রশাসনের, বলছে খতিয়ে দেখে নেয়া হবে ব্যবস্থা। আর অনুমতি না থাকায় ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হননি রেড ক্রিসেন্ট জেলা ইউনিটের উপ-পরিচালক আবদুল করিম।
দখল হওয়া মুজিব কিল্লা উদ্ধারের পর আরো আধুনিক করতে কাজ করবে সবাই, প্রত্যাশা উপকূলবাসীর।