১০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও সারের পরিস্থিতির চরম অবনতি, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিগত ফ্যাসিস আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং শত শত কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে সারাদেশে সারের মহাসংকট সৃষ্টি করেছে কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও তার সহযোগীরা। যে কারণে দেশব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে সারের জন্য কৃষকের হাহাকার। কৃষকেরা প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও সাররের জন্য কৃষি অফিস ঘেরাও করছে। প্রান্তিক চাষীরা সারের তীব্র সংকটের প্রতিবাদে এবং পর্যাপ্ত সারের দাবিতে কৃষি অফিস ঘেরাও, সড়ক ও মহা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ কর্মসূচি এমনকি কৃষি কর্মকর্তারাও মারধোরের শিকার হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধারা ও প্রান্তিক চাষীরা মনে করেন, দেশের আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি এবং কৃষি খাতের বেহাল অবস্থার জন্য দায়ী কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও তার সহযোগীরা। দেশব্যাপী সারের মহা সংকটের কারণে দেশের প্রান্তিক চাষীরা নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে।

জানাগেছে, কৃষি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। দুঃসময়ে দেশের মানুষের শেষ ভরসা কৃষি। করোনার ছোবলে দেশ যখন থমকে গিয়েছিল, তখনও কৃষির চাকা ছিল সচল। দেশের মানুষের নির্ভরতার সেই কৃষি এখন বড় সঙ্কটে। ফলে অন্তবর্তী সরকার দেশের কৃষি সেক্টর বাচাঁতে এবং প্রান্তিক চাষীদের সার প্রদানে কার্যত চরম ব্যর্থ হয়েছে। কৃষি সচিব হিসেবে ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সুকৌশলে দেশে সারের সংকট তৈরি করেছে। সারের জন্য প্রান্তিক চাষীরা বিভিন্ন জায়গায় ধরর্ণা দিয়েও পাচ্ছেনা কোন সার। যে কারনেই সারের জন্য সারাদেশে ফেঁসে উঠেছে প্রান্তিক চাষীরা। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা সড়ক অবরোধ ও কৃষি অফিস ঘেরাও এবং কৃষি কর্মকর্তাদের কে হেনন্তা করে। সারের এই মহাসংকট সঙ্কট মোকাবেলা করা সরকারের পক্ষে হয়ে অসম্ভব পড়েছে। মুলত কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বিপাকে ফেলতে এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে সুকৌশলে বিগত ফ্যাসিস আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তার এজেন্ডা বাস্তবায়নের কারণে চলতি বোরো- রবি মৌসুমের শুরু থেকেই সারাদেশে সৃষ্টি হয়েছে সারের চরম সংকট। কারন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ছিলেন এক সময়ে তুখুড় ছাত্রলীগ নেতা, বিগত ফ্যাসিস আওয়ামী সরকারের অন্যতম সহযোগী এবং মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সদস্য।

সুত্রটি জানায়, বেসরকারি খাতের মাধ্যমে সরকার নন-ইউরিয়া সার হিসেবে পরিচিত টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি আমদানির জন্য প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করলে এবার সেটা করা হয়েছে তিন মাসেরও বেশি সময় পর। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে নন-ইউরিয়া সারের দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এছাড়া সার আমদানীর জন্য তৈরি করা নীতিমালা পরিবর্তন করে ফেলেন। দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও এবার সেই নিয়ম বদলে ফেলে উল্টো কৃষি মন্ত্রণালয় আমদানিকারকদের নিকট দর প্রস্তাব গ্রহন করে দেশ ট্রেডিং করপোরেশন এবং বাল্ক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামক প্রতিষ্ঠান থেকে শত শত কোটি টাকার উৎকোচ গ্রহন করে সার আমদানির কার্যাদেশ প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠান দুটির স্বত্বাধিকারী আমিনুর রশিদ খান। যিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ে ‘মামুন’ নামে পরিচিত। এছাড়া বেসরকারী ভাবে সরকারকে সার সরবরাহের পর বিলম্বে বিল পরিশোধ করার কারনে অনেক সরবরাহকারী নিঃস্ব হয়ে এই সেক্টরের ব্যবসা থেকে মূখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কৃষি সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সুকৌশলে দেশে সারের সংকট তৈরি করেছে। যার ফলে চলতি রবি মৌসুমের শুরুতেও সারাদেশে দেখা দিয়েছে সারের চরম সংকট। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা সড়ক অবরোধ ও কৃষি অফিস ঘেরাও এবং কৃষি কর্মকর্তাদেরা হেনন্তার স্বীকার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের জোর দাবি করেন।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও সারের পরিস্থিতির চরম অবনতি, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী

আপডেট সময় : ০৬:৩০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বিগত ফ্যাসিস আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং শত শত কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে সারাদেশে সারের মহাসংকট সৃষ্টি করেছে কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও তার সহযোগীরা। যে কারণে দেশব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে সারের জন্য কৃষকের হাহাকার। কৃষকেরা প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও সাররের জন্য কৃষি অফিস ঘেরাও করছে। প্রান্তিক চাষীরা সারের তীব্র সংকটের প্রতিবাদে এবং পর্যাপ্ত সারের দাবিতে কৃষি অফিস ঘেরাও, সড়ক ও মহা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ কর্মসূচি এমনকি কৃষি কর্মকর্তারাও মারধোরের শিকার হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধারা ও প্রান্তিক চাষীরা মনে করেন, দেশের আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি এবং কৃষি খাতের বেহাল অবস্থার জন্য দায়ী কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও তার সহযোগীরা। দেশব্যাপী সারের মহা সংকটের কারণে দেশের প্রান্তিক চাষীরা নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে।

জানাগেছে, কৃষি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। দুঃসময়ে দেশের মানুষের শেষ ভরসা কৃষি। করোনার ছোবলে দেশ যখন থমকে গিয়েছিল, তখনও কৃষির চাকা ছিল সচল। দেশের মানুষের নির্ভরতার সেই কৃষি এখন বড় সঙ্কটে। ফলে অন্তবর্তী সরকার দেশের কৃষি সেক্টর বাচাঁতে এবং প্রান্তিক চাষীদের সার প্রদানে কার্যত চরম ব্যর্থ হয়েছে। কৃষি সচিব হিসেবে ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সুকৌশলে দেশে সারের সংকট তৈরি করেছে। সারের জন্য প্রান্তিক চাষীরা বিভিন্ন জায়গায় ধরর্ণা দিয়েও পাচ্ছেনা কোন সার। যে কারনেই সারের জন্য সারাদেশে ফেঁসে উঠেছে প্রান্তিক চাষীরা। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা সড়ক অবরোধ ও কৃষি অফিস ঘেরাও এবং কৃষি কর্মকর্তাদের কে হেনন্তা করে। সারের এই মহাসংকট সঙ্কট মোকাবেলা করা সরকারের পক্ষে হয়ে অসম্ভব পড়েছে। মুলত কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বিপাকে ফেলতে এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে সুকৌশলে বিগত ফ্যাসিস আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তার এজেন্ডা বাস্তবায়নের কারণে চলতি বোরো- রবি মৌসুমের শুরু থেকেই সারাদেশে সৃষ্টি হয়েছে সারের চরম সংকট। কারন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ছিলেন এক সময়ে তুখুড় ছাত্রলীগ নেতা, বিগত ফ্যাসিস আওয়ামী সরকারের অন্যতম সহযোগী এবং মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সদস্য।

সুত্রটি জানায়, বেসরকারি খাতের মাধ্যমে সরকার নন-ইউরিয়া সার হিসেবে পরিচিত টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি আমদানির জন্য প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করলে এবার সেটা করা হয়েছে তিন মাসেরও বেশি সময় পর। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে নন-ইউরিয়া সারের দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এছাড়া সার আমদানীর জন্য তৈরি করা নীতিমালা পরিবর্তন করে ফেলেন। দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও এবার সেই নিয়ম বদলে ফেলে উল্টো কৃষি মন্ত্রণালয় আমদানিকারকদের নিকট দর প্রস্তাব গ্রহন করে দেশ ট্রেডিং করপোরেশন এবং বাল্ক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামক প্রতিষ্ঠান থেকে শত শত কোটি টাকার উৎকোচ গ্রহন করে সার আমদানির কার্যাদেশ প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠান দুটির স্বত্বাধিকারী আমিনুর রশিদ খান। যিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ে ‘মামুন’ নামে পরিচিত। এছাড়া বেসরকারী ভাবে সরকারকে সার সরবরাহের পর বিলম্বে বিল পরিশোধ করার কারনে অনেক সরবরাহকারী নিঃস্ব হয়ে এই সেক্টরের ব্যবসা থেকে মূখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কৃষি সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সুকৌশলে দেশে সারের সংকট তৈরি করেছে। যার ফলে চলতি রবি মৌসুমের শুরুতেও সারাদেশে দেখা দিয়েছে সারের চরম সংকট। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা সড়ক অবরোধ ও কৃষি অফিস ঘেরাও এবং কৃষি কর্মকর্তাদেরা হেনন্তার স্বীকার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের জোর দাবি করেন।