দীর্ঘ ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটলো আর্জেন্টিনার

- আপডেট সময় : ০১:৩৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটলো আর্জেন্টিনার। ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতলো আলবিসেলেস্তে। ১৯৯৩ সালের পর প্রথমবারের মতো কোন শিরোপা স্থান পেল আকাশী-নীলদের ট্রফি ক্যাবিনেটে। উরুগুয়ের সমান সর্বোচ্চ ১৫ কোপা জয়ের কৃতিত্বের ভাগিদার এখন আর্জেন্টিনা। এই জয়ে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেলেন লিওনেল মেসি। টুর্নামেন্ট সেরা আর সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেলেন এলএমটেন। ম্যাস সেরা ডি মারিয়া আর সেরা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
যেই লড়াইকে ঘিরে এতো প্রতিদ্বন্দ্ধিতার আগুন তা উড়ে গেলো ৯০ মিনিটের যুদ্ধে। চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের ১-০ গোলে হারিয়ে উরুগুয়ের সমান সর্বোচ্চ ১৫ কোপা জয়ের কৃতিত্বের ভাগিদার এখন আর্জেন্টিনা। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আবারও সেই মারাকানা সাক্ষী হলো আকাশী নীল অর্জনের।
দুই লাতিন পরাশক্তির লড়াই শুরু হয় কোভিড সতকর্তার যারা ভুমিকা রাখছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। ব্রাজিল কোচ তিতে প্রেসিং কৌশল শুরুতে আশা জাগিয়ে ছিলো। ১৩ মিনিটে প্রথম সুযোগটি পায় সেলেসাওরা। তবে, গোলবারের শট নিতে ব্যর্থ নেইমার।
তবে, ভুল করেননি ডি মারিয়া। ম্যাচের প্রথম সুযোগেই বাজিমাত। ১৩ মিনিটে মারাকানাকে স্তব্ধ করে দেন পিএসজি তারকা। রদ্রিগো ডি পলের লং পাসে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন ম্যাচ সেরা এই খেলোয়াড়। মারাকানা রঙ্গিন আকাশী -নীল রঙ্গে। ২৯ মিনিটের আবারও সেই ডি মারিয়া। তবে, বাধার দেয়াল ব্রাজিল ডিফেন্স। ৩৩ মিনিটে গোলবারের প্রথম শট নেন মেসি কিন্ত সফল হননি।
সমতায় ফিরতে খোলস ছাড়ে ব্রাজিল। তবে, একাধিক আক্রমণ করেও বিরতির আগে ব্যবধান কমাতেই পারেনি নেইমাররা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তি।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে ব্রাজিল। গোলও পেয়েছিলো কিন্তু রিচার্লিসনের গোল অফ সাইডে বাতিল হলে শোকে রূপ নেয় সেলেসাওদের উৎসব। খানিক বাদে আবারও সুযোগ পান এভারটন তারকা। তবে এবার বাধার নাম এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
পরের সময়টায় গোলের শক্তি প্রয়োগেই ব্যস্ত ছিলো দু’দলের ফুটবলাররা। কথার লড়াইয়কে ছাড়িয়ে যার রেশ গড়িয়েছে হাতাহাতিতেও। দফায় দফায় আক্রমণে কেবল গোলটাই পাওয়ান হয়নি ব্রাজিলের। ৮৭ মিনিটে শেষ সুযোগ, এবারও বাধা এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। নিজের স্বপ্নপূরণের রাতে স্কোরশিটে নাম তুলতে পারতেন মেসিও। তবে উৎসবের রাতে ক্ষুদে জাদুকরের এমন মিস কেইবা মনে রাখবে! তবে মনে থাকবে নেইমারের কান্না। আরও একবার ব্রাজিলের জন্য ট্রাজেডির ইতিহাস মারাকানা স্টেডিয়াম। এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের কাছে কোপার শিরোপা হারিয়ে। ঘরের মাঠে ষষ্ঠবার কোপার ফাইনাল খেলে প্রথমবারের মতো রানার্স আপ পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।