ঝুঁকিপুর্ণ পণ্যগুলো আরো বেশি ঝুঁকিতে ফেলছে চট্টগ্রাম বন্দরকে
 
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ০২:১৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
- / ১৫৮৯ বার পড়া হয়েছে
বন্দর দিয়ে আসা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, দাহ্যপদার্থসহ ঝুঁকিপুর্ণ পণ্যগুলো আরো বেশি ঝুঁকিতে ফেলছে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড চট্টগ্রাম বন্দরকে। কারণ ঝুঁকিপুর্ণ এসব রাসায়নিক রক্ষণাবেক্ষণের উপযোগী অবকাঠামোর পাশাপাশি এগুলো হ্যাণ্ডেল করার মতো দক্ষ জনবলও নেই এই বন্দরে। নয় মাসের ব্যবধানে বন্দরের ভেতরে দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ৮ নম্বর ইয়ার্ডে রাখা একটি কন্টেইনার থেকে হঠাৎ করেই ধোয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে আগুন বের হতে থাকে। মুহুর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে পাশে থাকা কয়েকটি কন্টেইনারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর জানা যায়, এ্যাকুরিয়ামের মাছের জন্য অক্সিজেন সাপ্লিমেন্ট ফিশ পন্ডস সোডিয়াম কার্বনেট নামের কেমিক্যালে বোঝায় ছিলো কন্টেইনারটি। আমদানীর সময় নন ডেঞ্জারাস ঘোষণা দেয়ায় তা রাখা হয়েছিলো উন্মুক্ত স্থানে। আর এতেই রোদের তাপে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে কন্টেইনারটিতে।
গেল বছর ৩ নম্বর সেডের পরিত্যাক্ত কেমিক্যল ও ফেব্রিকসের গুদাম থেকেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ব্যপক ক্ষতি হয় বন্দরের। বারবার এমন দুর্ঘটনার ঘটনায় আন্তর্জাতিক বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা বন্দর ব্যবহারকারীদের।
গেল বছরের আগস্টে লেবাননের বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে দেড়শোর বেশি প্রাণহানীর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন অন্তত তিন লাখ মানুষ। পরে লেবানন সরকার জানায় অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নামের পরিত্যক্ত একটি কেমিক্যাল থেকেই এই বিস্ফোরণের সুত্রপাত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব ধরণের রাসায়নিক হ্যান্ডেল করার আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে। এখানে ব্যত্যয় ঘটলে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
আমদানীর পর নানা কারণে ডেলিভারি না নেয়া বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষিত আছে চট্টগ্রাম বন্দরের পি-সেডে। বৈরুত বন্দরের ভয়াবহতার পর কিছু পণ্য ধ্বংস করা হলেও আইনগত জটিলতায় এখনো রয়ে গেছে অনেক পণ্য। যা রক্ষণাবেক্ষনে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান গুলোতে রাসায়নিক রক্ষনাবেক্ষণের উপযোগী অবকাঠামোর পাশাপাশি গড়ে তুলতে হবে দক্ষ জনবলও এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ফুটেজ-৪

 
																			 
																		

























