সাভারে ভূমি মালিকদের কাছে আতঙ্কের নাম শাহাদাৎ হোসেন খান

- আপডেট সময় : ০১:৫১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৬০১ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন খান এলাকার ভূমি মালিকদের কাছে যেন এক ‘আতঙ্কের নাম। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ও ঝুট সন্ত্রাসের মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলাসহ বিস্তর অভিযোগ এ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তার বিভিন্ন অপকর্মের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভুমিকায় থাকা সাহাদাতের এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ।
২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউপি সদস্য থাকাকালীন বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন শাহাদাৎ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সে সময় থেকে আশুলিয়ায় মাদক ও ভূমি দস্যুতার রাজত্ব শুরু করে সাহাদাত। পরে বাইপাইলে বাংলা ক্লাবের নামে শুরু হয় চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড। গ্রুপ-৯ নামে একটি আন্ডাগ্রাউন্ড সংগঠন করে সাহাদাত। এব্যাপ্যারে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রপতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অভিযোগ পত্র দেয় ভুক্তভোগীরা।
সাহাদাত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। মানিকগঞ্জের নয়াডিঙ্গি কাটিগ্রামে বিলাসবহুল বাগানবাড়ি, বরিশালের নাজিরপুরে মৎস্য খামার,আশুলিয়ার বাইপাইলে সিটি সেন্টারের মালিক সে। শাহাদাতের আগ্রাসনের শিকার হওয়াদের একজন মো. রুহুল আমিন। বাইপাইলে তার ফলের আড়ত দখল করে নিয়েছে সাহাদাত। ভূয়া কাগজ তৈরি করে উল্টো মামলাও দিয়েছে রুহুলের নামে।
এসএটিভি অনুসন্ধানে জানা যায়, পুরো মার্কেটে ৪৭ টি দোকান রয়েছে। এখানে প্রতিটি দোকানের ভাড়া ১৫ হাজার থেকে সর্বনিম্ন ৯ হাজার টাকা । দোকানীরাও জানান, এ মার্কেট রুহুল আমিনের ছিল। বর্তমানে সাহাদাৎ হোসেন খান এবং তার ভাই পুরো মার্কেট দখল করে ভাড়া উঠান।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে তিনদিন চেষ্টার পর অবেশেষে এসএটিভির মুখোমুখি সাহাদাত হোসেন খান। ভূমি দখল, ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে পুরোপুরি অস্বীকার তিনি। অভিযোগ রয়েছে, শাহাদাত এসব অপর্কমের পৃষ্ঠপোষক বর্তমানে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ফারুক হাসান তুহিন। তবে মুঠোফোনে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তুহিন।
মামলা থাকার পরও কেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান জানান, অপরাধী যেই হোক অভিযোগ প্রমানিত হলে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি জানান, আইনের চোখে সকল অপরাধীই সমান। প্রশাসন সকল দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।