চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি

- আপডেট সময় : ০৮:০৭:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নেয়া বিরল প্রজাতির সাদা বাঘ- শুভ্রার ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। তবে জন্মের পর মা তাকে গ্রহণ না করায় এখন ব্যাঘ্র শাবকটির ঠাঁই হয়েছে মানুষের কোলে। হাসপাতাল ভবনের একটি ঘরে কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেনের তত্ত্বাবধানে বেড়ে উঠছে সে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানান, আগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাঘ শাবকটিকে বড় করে তোলার চেষ্টা করছেন তারা। এদিকে এক বছরের ব্যবধানে চিড়িয়াখানায় ৪টি বাঘ শাবকের জন্ম নেয়ার ঘটনায় আগ্রহ বেড়েছে দর্শনার্থীদের।
হলুদের ওপর কালো ডোরাকাটা রংয়ের এই মেয়ে ব্যাঘ্র-শাবকটির জন্ম- গেল ২৬ আগস্ট। তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রকাশ করেন গত বৃহস্পতিবার; সব ঝুঁকি কেটে যাওয়ার পর। ২১ দিনের এই শাবকটির ওজন ১ কেজি ৯০০ গ্রাম। প্রতিবার ৭৫ গ্রাম করে- দৈনিক ৬ বার ছাগলের দুধ খেয়ে বড় হচ্ছে সে। এরই মধ্যে হামাগুড়ি দিতেও শিখেছে সে; দিন দশেকের মধ্যেই শিখবে হাঁটাহাঁটি করতে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আফ্রিকা থেকে আনা বাঘ দম্পতি- রাজ ও পরীর ঘরে ২০১৯ সালে জন্ম নেয় সাদা রংয়ের বিরল প্রজাতির বাঘ- শুভ্রা। এবার তার ঘর আলো করে এলো এই শাবক। তবে জন্মের পর মায়ের বিরূপ আচরণে তার ঠাঁই হয়েছে মানুষের কোলে।
এর আগে শুভ্রার বোন- জয়ার গর্ভে জন্ম নেয় আরেকটি বাঘ শাবক– জো-বাইডেন। কিন্তু জন্মের পর মায়ের বিমাতা সুলভ আচরণের কারণে বাইডেনও বড় হয় মানুষের মমতায়। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগছে সম্প্রতি ভূমিষ্ট এই শাবকটির ক্ষেত্রেও।
২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত বিরতিতে একাধিক বাঘের জন্ম হয়েছে এই চিড়িয়াখানার খাঁচায়। যা দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
করোনাকালের দেড় বছরে ৮টি ব্যাঘ্র শাবকের জন্ম হয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। যার মধ্যে ৩টি শাবককে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।