০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গোপালগঞ্জে অবৈধ পণ্যের নামে বৈধ মালামাল জব্দ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গোপালগঞ্জে এসএ পরিবহনের অফিসে কথিত অভিযানের নামে গ্রাহকের বুকিং করা দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন বৈধ পণ্যকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে দুই দফায় লুট করে নিয়ে গেছে কাস্টমস ও ভ্যাট কর্মকর্তারা। এসএ পরিবহনের কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোয় এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও হুমকি দেন গোপালগঞ্জ কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাটের কর্মকর্তারা। কাস্টমস কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না দিলেও গ্রাহকের বৈধ পার্শ্বেল ফেরত চাওয়ার পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহার করা কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এসএ পরিবহনের কর্মকর্তারা।

দেশের শীর্ষস্থানীয় কুরিয়ার সার্ভিস এসএ পরিবহনের গোপালগঞ্জ শাখার চিত্র এটি। ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা সারাদেশ থেকে আসা গ্রাহকের পণ্য ডেলিভারি ও বুকিং করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঠিক এমন সময় অফিসে হানা দেন একদল সাদা পোশাকের লোক। তারা নিজেদের গোপালগঞ্জ কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন।

কাউকে কিছু না বলে ঢুকে পড়েন গোডাউনে। কথিত তল্লাসির নামে বিভিন্ন গ্রাহকের নামে আসা প্যাকেট পার্শ্বেল কেটে-ছিঁড়ে তাণ্ডব চালান। এসএ পরিবহনের কর্মীরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের এমন অপেশাদার আচরণের প্রতিবাদ করলে ফোন করে আরো কর্মকর্তাদের ডেকে আনেন তারা।

অবৈধ কোন পণ্য না পেয়ে বিভিন্ন গ্রাহকের নামে আসা ৮ টি মেমোর বিপরীতে দেশে উৎপাদিত ৮ টি বৈধ পণ্যকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে লুট করে নিয়ে যান তারা। অপেশাদার আচরণের প্রতিবাদ করায় এই ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও হুমকি দেন তারা।

পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে ডাকবাহী গাড়ি আসার সঙ্গে সঙ্গে ফের হানা দেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিসের কর্মকর্তারা। এ দফায় ৮টি মেমোর বিপরীতে আসা আরো ১৫টি পার্শ্বেল কোন ধরনের সিজারলিস্ট না দিয়েই নিয়ে যায় তারা। কাস্টমস কর্মকর্তাদের এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানালে স্থানীয়দেরও হুমকি দেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ কাস্টমস ও ভ্যাট কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এসএ পরিবহনের দাবি, বুকিং মেমো, চালানসহ বৈধ সব ডকুমেন্ট থাকার পরও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাস্টমস কর্মকর্তারা গ্রাহকের পার্শ্বেলগুলো ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

গ্রাহকের পণ্য ফেরত পাওয়ার পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান মোরশেদ আলম চৌধুরী।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গোপালগঞ্জে অবৈধ পণ্যের নামে বৈধ মালামাল জব্দ

আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গোপালগঞ্জে এসএ পরিবহনের অফিসে কথিত অভিযানের নামে গ্রাহকের বুকিং করা দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন বৈধ পণ্যকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে দুই দফায় লুট করে নিয়ে গেছে কাস্টমস ও ভ্যাট কর্মকর্তারা। এসএ পরিবহনের কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোয় এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও হুমকি দেন গোপালগঞ্জ কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাটের কর্মকর্তারা। কাস্টমস কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না দিলেও গ্রাহকের বৈধ পার্শ্বেল ফেরত চাওয়ার পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহার করা কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এসএ পরিবহনের কর্মকর্তারা।

দেশের শীর্ষস্থানীয় কুরিয়ার সার্ভিস এসএ পরিবহনের গোপালগঞ্জ শাখার চিত্র এটি। ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা সারাদেশ থেকে আসা গ্রাহকের পণ্য ডেলিভারি ও বুকিং করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঠিক এমন সময় অফিসে হানা দেন একদল সাদা পোশাকের লোক। তারা নিজেদের গোপালগঞ্জ কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন।

কাউকে কিছু না বলে ঢুকে পড়েন গোডাউনে। কথিত তল্লাসির নামে বিভিন্ন গ্রাহকের নামে আসা প্যাকেট পার্শ্বেল কেটে-ছিঁড়ে তাণ্ডব চালান। এসএ পরিবহনের কর্মীরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের এমন অপেশাদার আচরণের প্রতিবাদ করলে ফোন করে আরো কর্মকর্তাদের ডেকে আনেন তারা।

অবৈধ কোন পণ্য না পেয়ে বিভিন্ন গ্রাহকের নামে আসা ৮ টি মেমোর বিপরীতে দেশে উৎপাদিত ৮ টি বৈধ পণ্যকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে লুট করে নিয়ে যান তারা। অপেশাদার আচরণের প্রতিবাদ করায় এই ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও হুমকি দেন তারা।

পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে ডাকবাহী গাড়ি আসার সঙ্গে সঙ্গে ফের হানা দেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিসের কর্মকর্তারা। এ দফায় ৮টি মেমোর বিপরীতে আসা আরো ১৫টি পার্শ্বেল কোন ধরনের সিজারলিস্ট না দিয়েই নিয়ে যায় তারা। কাস্টমস কর্মকর্তাদের এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানালে স্থানীয়দেরও হুমকি দেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ কাস্টমস ও ভ্যাট কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এসএ পরিবহনের দাবি, বুকিং মেমো, চালানসহ বৈধ সব ডকুমেন্ট থাকার পরও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাস্টমস কর্মকর্তারা গ্রাহকের পার্শ্বেলগুলো ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

গ্রাহকের পণ্য ফেরত পাওয়ার পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান মোরশেদ আলম চৌধুরী।