ক্ষমতাচ্যুতির পর গা-ঢাকায় হানিফ-আতা, কুষ্টিয়াবাসীর প্রত্যাশা দু:শাসনের অধ্যায় আর না ফিরুক

- আপডেট সময় : ০৪:২৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ। দীর্ঘদিনের ক্ষমতাকে পুঁজি করে তিনি গড়ে তুলেছিলেন প্রভাব-প্রতিপত্তি আর বিপুল সম্পদ। অভিযোগ আছে- রাজনীতির আড়ালে গড়ে তুলেছিলেন অর্থ উপার্জনের সাম্রাজ্য। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গা-ঢাকা দেন তিনি । একইসঙ্গে আত্মগোপনে চলে যান তার চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা। কুষ্টিয়ার সাধারণ মানুষ এখন বলছেন, দু:শাসনের এই অধ্যায় যেন আর ফিরে না আসে।
মাহবুবউল আলম হানিফের দীর্ঘ ১৫ বছরের রাজনীতিতে ছিলেন প্রভাবশালী এক নেতা। দলের পদ-পদবি বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ঠিকাদারি কাজ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। কারওয়ান বাজারে বিএমটিসি ভবনে কোয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল নামে অফিসে বসে নিয়ন্ত্রণ করতেন সবকিছু। স্ত্রীর নামে কুষ্টিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্স নিয়ে চালু করেছিলেন লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয়।
হানিফের অন্যতম দোসর ছিলেন চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা। কেয়ারটেকার থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান, তারপর কুষ্টিয়ার টেন্ডারবাজি, হাট-ঘাট, বালুর ঘাটসহ হানিফের সকল অপকর্মের একমাত্র সিপাহসালাহ ছিলো আতা।
স্থানীয় বিভিন্ন দলের নেতারা বলছেন, হানিফ আর আতা দুই ভাই মিলে ধ্বংস করেছেন কুষ্টিয়ার রাজনীতি। বিএনপি-জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মী হামলা, মিথ্যা মামলা আর দমন-পীড়নে দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন বাড়ি ছাড়া। অসংখ্য মানুষ হয়েছেন ভুক্তভোগী।
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনমলে হানিফের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিকরাও পড়েছেন রোষানলে। একাধিক সাংবাদিককে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন হানিফ এবং তার দোসররা।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর রাতারাতি গা-ঢাকা দেন হানিফ ও আতা। লুটপাট হয় তাদের বাড়িঘর। দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়েছে শত শত কোটি টাকার সম্পদের তথ্য।
একসময় ক্ষমতার শীর্ষে থাকা এই দুই নেতা এখন আত্মগোপনে। কুষ্টিয়াবাসীর দাবি অসংখ্য মানুষকে বিনা অপরাধে হয়রানি, নানা অনিয়ম দুর্নীতি-অত্যাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।