কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দল-মত নির্বিশেষে ডা. জাফরুল্লাহর প্রতি সবার শ্রদ্ধা
- আপডেট সময় : ০৭:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৬১৭ বার পড়া হয়েছে
শেষবারের মতো রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়া হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে। এর আগে বারডেম থেকে মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে শ্রদ্ধা জানান। নানা মাত্রায়, নানা বিবেচনায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিকল্প আর তৈরি হবে না এমন মন্তব্য শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া সমাজবিদ, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদদের। কাল জানাজা শেষে নিজ প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ডা. জাফরুল্লাহকে।
সময়ের পরিক্রমায় যিনি এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের অনন্য এক অধ্যায়। নিভৃতচারী দেশপ্রেমিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ।
জনমভর যার মেধা ও মননে ছিলো দেশ ও দশের কল্যাণ। স্পষ্টভাষী বীর এই সেনার অর্জন পাহাড়সম না হলেও দেশের মানুষের মনে তার জন্য ছিলো অকৃত্রিম ভালোবাসা। তাই বুঝি শেষবার জনস্বাস্থ্যের স্বপ্নদ্রষ্টাকে দেখতে হাজারো মানুষের ভিড় ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বারডেম হাসপাতালের হিমাগার থেকে ফ্রিজিং ভ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়্। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হন দলমত নির্বিশেষে সবাই। শ্রদ্ধা নিবেদনের সাথে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে পুরোনো দিনে ফিরেছেন সবাই। তৈরি হয় এক আবেগী পরিবেশের।
সৎ ও নির্ভীক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে একনজর দেখতে ছুটে যান তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, বিশিষ্টজন, শিক্ষক, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জনমানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১২টার দিকে গার্ড অব অনার প্রদান দেয়া হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে।
বেলা আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকাল ১০টায় সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পড়ানো হবে দ্বিতীয় জানাজা। সেখানেই সমাহিত হবে জাতির বিবেক বলে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ।





















