করোনা ঠেকাতে বন্ধ রয়েছে ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের সব ধরনের বিনোদন কেন্দ্র

- আপডেট সময় : ০১:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০
- / ১৫৬১ বার পড়া হয়েছে
করোনার বিস্তার ঠেকাতে বন্ধ রয়েছে ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের সব ধরনের বিনোদন কেন্দ্র। একই অবস্থা মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর, নীলকুঠি, ডিসি ইকো পার্ক এবং নেত্রকোনার বিনোদন পার্কগুলোরও। এবারের ঈদের ছুটিতে এসব বিনোদন কেন্দ্রে দেখা মেলেনি দর্শনার্থীর। ঈদের সময় বিনোদন কেন্দ্রগুলোর আয়ের প্রধান উৎস বন্ধ থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিনোদন শিল্পকে বাঁচাতে এখন সরকারি প্রণোদনা চেয়েছেন মালিকরা।
করোনা আতঙ্কে সুনশান নীরবতা সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে পরিবারের সাথে আনন্দ উপভোগ করতে এখানে বিনোদনপ্রেমীদের উপচে’ পড়া ভীড় থাকলেও এবার নেই কোন দর্শনার্থী। চলছে না থিমপার্ক খ্যাত ফ্যান্টাসি কিংডম কিংবা নন্দন পার্ক। আয় না থাকায় বাধ্যতামুলক ছুটিতে বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী। অনেকেই আছেন চাকুরিচ্যুতির তালিকায়।
২৬ মার্চ থেকে টানা সরকারি ছুটির প্রথম থেকেই বন্ধ হয়ে পড়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। মেহেরপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র এখন পর্যটন শূন্য। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রতিবছর লাখো মানুষের ঢল নামলেও এবছর তা জনশূন্য। একই অবস্থা অন্যসব পর্যটন কেন্দ্রের।
করোনার বিস্তাররোধে সরকারি নির্দশনায় সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ঈদ এলেই দর্শনার্থীর ভিড়ে টইটম্বুর হয়ে যেত নেত্রকোনা পৌর শহরের বিনোদন কেন্দ্র- কিড্ডি কিংডম পার্ক। করোনা পরিস্থিতিতে শুধু এই পার্কটিই নয়, দর্শনার্থী নেই জেলার অন্যসব বিনোদন কেন্দ্রেও। টানা বন্ধে আয় না থাকলেও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন এসব বিনোদন কেন্দ্রের মালিকরা। প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। বিনোদন শিল্প টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে সরকার- এমনটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।