উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বাড়তি সতর্কতা

- আপডেট সময় : ০১:৫৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৫১ বার পড়া হয়েছে
করোনা মোকাবিলায় কক্সবাজার লকডাউনের পর উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ক্যাম্পের হাসপাতালগুলোতে প্রস্তুত করা হয়েছে ৩০০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড।এছাড়া বিশেষ এই হাসপাতালকে ১ হাজার শয্যায় উন্নিত করণের কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে। অন্যদিকে খাদ্য ও চিকিৎসাসহ অতি গুরুত্বপুর্ণ মানবিক সেবা কার্যক্রমের সাথে জড়িত নির্দিষ্ট কর্মী ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেশি-বিদেশি সকলের যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।
করোনায় আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের আলাদা রাখতে ক্যাম্পের ৬টি হাসপাতালে মোট ৩০০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের ৩৬ জন সেনা সদস্যকেও আইপিসির উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তাদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আছেন ২৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মীও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনাগুলো মিয়ানমারের ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং ভিডিও ক্লিপসের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সচেতন করার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
উখিয়া এবং টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। সিভিল সার্জনের হিসেবে, এখনো কোন রোহিঙ্গা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তাছাড়া প্রাণঘাতি এ ভাইরাসের বিষয়ে তাদের মাঝে ব্যাপক প্রচারণার কারনে কিছুটা হলেও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান আইএসসিজি মূখপাত্র।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিশেষভাবে সাবধানতা স্বরূপ বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। বিশেষ করে খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা ছাড়া ক্যাম্পে অন্যসব কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা জানান শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৮ এপ্রিল গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ পুরো জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।