অবশেষে চট্টগ্রামে খাদ্য পরিবহনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু
- আপডেট সময় : ০৩:৪১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২
- / ১৫৬৫ বার পড়া হয়েছে
এসএটিভি’তে সংবাদ প্রকাশের পর চট্টগ্রামে খাদ্য পরিবহনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে খাদ্য অধিদফতর। এরই মধ্যে তিনটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। তবে এই উদ্যোগ থামিয়ে দিতে একাট্টা হয়েছে খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা, পরিবহন ঠিকাদার আর অসাধু চক্রের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা চাল চোর সিণ্ডিকেট। আদালতে মামলা করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার ফন্দি এঁটেছে তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের কারণে নিজেদের দায় এড়াতে ঠিকাদার নিয়োগে টেন্ডার আহবান করলেও, কর্মকর্তারা আন্তরিক না হলে, তা বাস্তবায়ন হবে না।
দেওয়ানহাট কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম থেকে দেশের বিভিন্ন এলএসডি’র উদ্দেশ্যে বের হওয়া ট্রাকে ট্রাকে চাল চোরাইপথে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে এসএ টিভিতে একটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের পর তোলপার চলছে খাদ্য বিভাগে।
মুলত পরিবহন ঠিকাদারদের সহায়তায় চট্টগ্রামে বড় এই চাল চুড়ির ঘটনা ঘটে । তাই ২ বছর পরপর নতুন ঠিকাদার নিয়োগের নিয়ম থাকলেও, ৬ বছরে তা করেনি খাদ্য অধিদফতর। সংবাদ প্রকাশের পর তিনটি পত্রিকায় ব্যাকডেটে স্মাক্ষর করা ঠিকাদার নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা।
এর আগে ২৩ জুন একই কর্মকর্তা আরো তিন মাসের জন্য পুরনো ঠিকাদারদের মেয়াদ বাড়িয়ে অফিস আদেশ জারি করেন। আর এই ইস্যুকে সামনে এনেই মামলার জালে আটকে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া বানচাল করে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এতে ক্ষুব্ধ বিশ্লেষকরা।
পাহাড়তলী আর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ৬ জন অসাধু ব্যবসায়ীর ২৫টি গুদামে সরকারি চোরাই চালের এই ব্যবসা চলে আসছে দির্ঘদিন ধরে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় পাহাড়তলীর ফারুক ট্রেডিং আর খাতুনগঞ্জের মেসার্স বেলাল ট্রেডিং। প্রতিষ্ঠানগুলোর কেউ কথা না বললেও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্যবসায়ী সমিতি।
৩০ জুন রাতে বেলাল ট্রেডিংয়ের গুদামে আনলোড করার সময় পুলিশ এক ট্রাক চাল জব্দ করলেও, ড্রাইভার-হেলপার ছাড়া মামলায় অভিযুক্ত করা হয়নি কাউকে। সরকারি চাল উদ্ধারের প্রতিটি ঘটনায় মামলার বিবরন এমনই। ফলে চাল চুড়ির নেপথ্যের কারিগররা থেকে যাচ্ছেন অধরাই।





















