০৪:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

বাড়তি দামে মালামাল কেনার অভিযোগ প্রমাণিত, বহাল তবিয়তে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১০শীর্ষ কর্মকর্তা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১
  • / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাড়তি দামে মালামাল কেনার অভিযোগ- তদন্তে প্রমাণ হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১০শীর্ষ কর্মকর্তা। অনেকেই পদোন্নতি পেয়ে বসেছেন শীর্ষ আসনে। কেউ কেউ বদলী হয়ে চলে গেছে ভিন্ন মন্ত্রণালয়েও। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি মন্ত্রণালয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর জিরোটলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন হবে না।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলে ২০ ধরনের মালামাল কেনায় ব্যাপক দুর্নীতির প্রমাণ উঠে আসে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে। ২৯ পাতার তদন্তে ধরা পড়ে – এক হাজার ৮৫ টাকার একেকটি পর্দা কেনা হয় ১৭ হাজার ৯৯০ টাকায়। আর ১৩৩ টাকার তালা সাড়ে ৫হাজার টাকায়, ২০০ টাকার বালতি এক হাজার ৮৯০টাকায়, ৫০ টাকার বাঁশি ৪১৫ টাকায় ও ৭৫ টাকার ঝাণ্ডা ১ হাজার ৪৪০ টাকায় কেনা হয়েছে।

নাম                     পদবী
১. মিহির কান্তি গুহ – মহাব্যবস্থাপক
২. মো. মসিহ-উল-হাসান – অর্থউপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা
৩. মো. গোলাম রহমান – অতিরিক্ত অর্থউপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা
৪. মো. আলমগীর – ডিএফএ অর্থ
৫. গোলাম রাব্বানী – অতিরিক্ত এফএএন্ডসিও
৬. ফুয়াদ হোসেন আনন্দ – ডেপুটি চিফ কর্মাশিয়াল ম্যানেজার
৭. শেখ আবদুল জব্বার – এসিসিএমসিআর
৮. মোছা. হাসিনা খাতুন – ডেপুটি সিওপিএস
৯. শ্যামলী রাণী রায় – ডিএমএ হেডকোয়ার্টার
১০. মো. শরিফুল ইসলাম – এফএএন্ডসিএও

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রীর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।একইসাথে অপর এই ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রায় এক বছর পরও তারা আছেন বহাল তবিয়তেই। তবে অভিযুক্তদের অনেকেই এখন বলছেন, মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে তাদের কিছুই জানানো হয়নি।

তৎকালীন প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিহির কান্তি গুহ পদোন্নতি পেয়ে মহাব্যবস্থাপক হয়েছেন। আর উপ-প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বর্তমানে মহাপরিচালকের পিএস। যদিও রেলে সার্বিক দুর্নীতির কথা স্বীকার করে মহাব্যস্থাপক জানান, প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব না।

তবে সুশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনের ফাঁক-ফোঁকর থাকায় পরস্পরকে সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে দুষ্টচক্র।

অভিযুক্তদের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কথা বলতে রাজি হননি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাড়তি দামে মালামাল কেনার অভিযোগ প্রমাণিত, বহাল তবিয়তে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১০শীর্ষ কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১

বাড়তি দামে মালামাল কেনার অভিযোগ- তদন্তে প্রমাণ হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১০শীর্ষ কর্মকর্তা। অনেকেই পদোন্নতি পেয়ে বসেছেন শীর্ষ আসনে। কেউ কেউ বদলী হয়ে চলে গেছে ভিন্ন মন্ত্রণালয়েও। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি মন্ত্রণালয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর জিরোটলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন হবে না।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলে ২০ ধরনের মালামাল কেনায় ব্যাপক দুর্নীতির প্রমাণ উঠে আসে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে। ২৯ পাতার তদন্তে ধরা পড়ে – এক হাজার ৮৫ টাকার একেকটি পর্দা কেনা হয় ১৭ হাজার ৯৯০ টাকায়। আর ১৩৩ টাকার তালা সাড়ে ৫হাজার টাকায়, ২০০ টাকার বালতি এক হাজার ৮৯০টাকায়, ৫০ টাকার বাঁশি ৪১৫ টাকায় ও ৭৫ টাকার ঝাণ্ডা ১ হাজার ৪৪০ টাকায় কেনা হয়েছে।

নাম                     পদবী
১. মিহির কান্তি গুহ – মহাব্যবস্থাপক
২. মো. মসিহ-উল-হাসান – অর্থউপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা
৩. মো. গোলাম রহমান – অতিরিক্ত অর্থউপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা
৪. মো. আলমগীর – ডিএফএ অর্থ
৫. গোলাম রাব্বানী – অতিরিক্ত এফএএন্ডসিও
৬. ফুয়াদ হোসেন আনন্দ – ডেপুটি চিফ কর্মাশিয়াল ম্যানেজার
৭. শেখ আবদুল জব্বার – এসিসিএমসিআর
৮. মোছা. হাসিনা খাতুন – ডেপুটি সিওপিএস
৯. শ্যামলী রাণী রায় – ডিএমএ হেডকোয়ার্টার
১০. মো. শরিফুল ইসলাম – এফএএন্ডসিএও

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রীর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।একইসাথে অপর এই ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রায় এক বছর পরও তারা আছেন বহাল তবিয়তেই। তবে অভিযুক্তদের অনেকেই এখন বলছেন, মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে তাদের কিছুই জানানো হয়নি।

তৎকালীন প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিহির কান্তি গুহ পদোন্নতি পেয়ে মহাব্যবস্থাপক হয়েছেন। আর উপ-প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বর্তমানে মহাপরিচালকের পিএস। যদিও রেলে সার্বিক দুর্নীতির কথা স্বীকার করে মহাব্যস্থাপক জানান, প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব না।

তবে সুশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনের ফাঁক-ফোঁকর থাকায় পরস্পরকে সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে দুষ্টচক্র।

অভিযুক্তদের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কথা বলতে রাজি হননি।