০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের অর্ধেক পদ খালি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের মঞ্জুরীকৃত পদের অর্ধেকও এ যাবৎ পূরণ হয়নি। চিকিৎসক সংকটে এরই মধ্যে একটি ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আর বেশীরভাগ ওয়ার্ড চলছে ধার করা চিকিৎসক দিয়ে। এছাড়া নার্স থেকে শুরু করে টেকনোলজিস্ট এবং তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর অনেক পদও শূন্য থাকায় এর প্রভাব পড়ছে রোগীদের উপর। শূন্য পদ পূরণ করে রোগীদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

২০১৫ সালে শেরেবাংলা মেডিকেলের নীচতলায় ৮টি বেড নিয়ে বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পথচলা শুরু। ইউনিটটিতে ৮ জন চিকিৎসক এবং ১৬ জন নার্স ও ব্রাদারের পদ রাখা হয়। অথচ শুরু থেকেই ওই ইউনিটে ছিলেন মাত্র একজন চিকিৎসক। গত এপ্রিলে একমাত্র চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ওয়ার্ডটি বন্ধ করে দিতে হয়। একইভাবে একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে আইসিইউ ওয়ার্ডটি। ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে অন্য ওয়ার্ড থেকে ধার করে চিকিৎসক এনে রোগীদের সেবা দিতে হয়। অনেক সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও চিকিৎসা সেবা দিতে বাধ্য হন নার্সরা। এভাবে হাসপাতালের ৩৭টি ওয়ার্ডে চিকিৎসক সংকটে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি দিনে অন্তত দু’তিনবার রাউন্ড দেয়ার দাবী ভর্তি হওয়া রোগীদের।

শূণ্য পদ পূরণ করে রোগীদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা না গেলে, জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে কর্তৃপক্ষের কিছুই করার থাকবে না বলে মনে করেন শিক্ষক নেতারা। তবে পরিচালক শোনালেন আশার বাণী।

৩৬০ শয্যার হাসপাতালটিকে ১০ বছর পূর্বে এক হাজার বেডে উন্নীত করা হলেও জনবল কাঠামো রাখা হয় আগের অবস্থানেই। তারপরও সেই জনবল কাঠামো পূরণ করা হয়নি ৫০ বছরেও। বর্তমানে ২২৪ চিকিৎসক পদের ১২৮টি বছরের পর বছর ধরে শূন্য। এছাড়া ৯৭৫ নার্সের মধ্যে ৪৫টি, টেকনোলজিস্টের ৪৩ পদের মধ্যে ২৩টি এবং কর্মচারীদের ৪২৬টি পদের মধ্যে ১৪৭টিই শূন্য।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের অর্ধেক পদ খালি

আপডেট সময় : ০৫:৪২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের মঞ্জুরীকৃত পদের অর্ধেকও এ যাবৎ পূরণ হয়নি। চিকিৎসক সংকটে এরই মধ্যে একটি ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আর বেশীরভাগ ওয়ার্ড চলছে ধার করা চিকিৎসক দিয়ে। এছাড়া নার্স থেকে শুরু করে টেকনোলজিস্ট এবং তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর অনেক পদও শূন্য থাকায় এর প্রভাব পড়ছে রোগীদের উপর। শূন্য পদ পূরণ করে রোগীদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

২০১৫ সালে শেরেবাংলা মেডিকেলের নীচতলায় ৮টি বেড নিয়ে বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পথচলা শুরু। ইউনিটটিতে ৮ জন চিকিৎসক এবং ১৬ জন নার্স ও ব্রাদারের পদ রাখা হয়। অথচ শুরু থেকেই ওই ইউনিটে ছিলেন মাত্র একজন চিকিৎসক। গত এপ্রিলে একমাত্র চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ওয়ার্ডটি বন্ধ করে দিতে হয়। একইভাবে একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে আইসিইউ ওয়ার্ডটি। ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে অন্য ওয়ার্ড থেকে ধার করে চিকিৎসক এনে রোগীদের সেবা দিতে হয়। অনেক সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও চিকিৎসা সেবা দিতে বাধ্য হন নার্সরা। এভাবে হাসপাতালের ৩৭টি ওয়ার্ডে চিকিৎসক সংকটে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি দিনে অন্তত দু’তিনবার রাউন্ড দেয়ার দাবী ভর্তি হওয়া রোগীদের।

শূণ্য পদ পূরণ করে রোগীদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা না গেলে, জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে কর্তৃপক্ষের কিছুই করার থাকবে না বলে মনে করেন শিক্ষক নেতারা। তবে পরিচালক শোনালেন আশার বাণী।

৩৬০ শয্যার হাসপাতালটিকে ১০ বছর পূর্বে এক হাজার বেডে উন্নীত করা হলেও জনবল কাঠামো রাখা হয় আগের অবস্থানেই। তারপরও সেই জনবল কাঠামো পূরণ করা হয়নি ৫০ বছরেও। বর্তমানে ২২৪ চিকিৎসক পদের ১২৮টি বছরের পর বছর ধরে শূন্য। এছাড়া ৯৭৫ নার্সের মধ্যে ৪৫টি, টেকনোলজিস্টের ৪৩ পদের মধ্যে ২৩টি এবং কর্মচারীদের ৪২৬টি পদের মধ্যে ১৪৭টিই শূন্য।